মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮

আবহমান




তোমারতো জানাই আছে
একদিন সাম্যবাদও পুরনো হয়ে যাবে
গোলাপের রঙ বদলাবে, হয়ে যাবে বেগুনী
বৈষম্য বিক্রি হবে সমতার মোড়কে 

তুমিতো জানোই
একদিন চিরন্তনও শেষ হয়ে যাবে
ধ্বসে পড়বে নীতি পাহাড় 
অথচ, তুমি জানোইনা 
আমরা একটা অতীতে বসবাস করছি
 
একদিন তুমি খুঁজে পাবে প্রেম, অথচ 
তুমিতো জানোই যে, তুমি জানো না 
তোমার জন্য আমার এই প্রেম, 
সময়ের মত; আবহমান 
এবং তার কোন মহাকাশ নেই

তুমি জানো না
এ এক অনন্ত বর্তমান

বিসুখ


বিসুখ

আমাকে যে  বিষণ্ণতা গ্রাস করে থাকে
আমাকে যে বিপন্নতা গ্রাস করে বাঁচে;
তুমি জানো; কিংবা জানোই
হয়তো জানো না; কিংবা জানোই না তাকে!

এ কেমন জানি বিসুখের মতো
কত কত বার ভুলে গেছি.....

যত শতবার পরে মনে; তারপর থেকে
এ এমন এক মনে পরে থাকা, ভুলে যাওয়ার মতো..... 

তুমি জানো, কিংবা জানোই.....
হয়তো জানো না; কিংবা জানোই  না তাকে!


আমাকে যে বিষণ্ণতা গ্রাস করে থাকে;
তুমি জানো; কিংবা জানোই;
হয়তোবা জানোনা; কিংবা জানোই না তাকে;

এ কেমন জানি বিসুখের মত
কত কত বার ভুলে গেছি;
যত শতবার পরে মনে; তারপর থেকে
এ এমন এক মনে পরে থাকা ভুলে যাওয়ার মত!

তুমি জানো, কিংবা জানোই;
হয়তোবা জানোনা; কিংবা জানোইনা তাকে!

শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১৮

উপাগত




সব শেষে যখন চোখে ঘুম নেমে আসে
জাগরণের মতো করে, স্পর্শকাতর;
সারাদিন যেনো একটা স্বচ্ছ বোতলের ভিতর
তোলপাড়.....
আর উপাগতের দল এক এক করে,
আসে আর যায়

এরা কেউ চেনা
কেউ অচেনা; কেউ আবার স্মৃতির মতো আবছায়া
এরা একে একে  নিজেদের পরিচয় দিয়ে যায়
আমার ঘুমের মতো জাগরণের ভিতর
যে যার মুখোশ খুলে রেখে যায়

ঠিক ঘুমিয়ে পড়ার আগে
আমি জানতে পারি
এরা কেউ আমার চেনা নয়;
হয়তোবা অচেনাও নয়,
মূলত, এরা কেউ আমার পরিচিত নয়

তারপর আমার ঘুম হয়,
নিরবিচ্ছিন্ন সুখের মতো অলীক
কারণ এখন আমি এদের পরিচয় জানি;
আমি জানি, এরা কেউ আমার চেনা নয়;
হয়তোবা অচেনাও নয়,
মূলত, এরা কেউ আমার পরিচিত নয়

তারপর এক একটা অপাপবিদ্ধ সকালে
পবিত্র ঘুম ভেঙে জেগে উঠি
কোথাকার সেই পরিচিত কোলাহলে

বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১৮

অবসান




এরপর একদিন অপেক্ষার অবসান হলো
আমাদের দেখা হলো
তুমি জানলেই না, অথবা আমিও জানলাম না 
কিংবা দুজনের কেউই না।  

কিন্তু বারবার মনে হলো; যাক দেখাতো হয়েই গেলো ...
আর জ্যামিতি শাস্ত্র তুচ্ছ করে
দুটি সমান্তরাল রেখা পরস্পরকে ছেদ করে চলে গেলো। 

কেউ জানুক আর না জানুক 
একে অপরের অপক্ষের অবসান হলো 
আমাদের পরিচয় জমা রাখা মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলো
বহুদুরে উড়ে গেলো প্রজাপতি হয়ে
এ যেনো একটা নিরাপরাধবোধ অনুভূতি, শিশুর পাপের মতো

এরপর একদিন দুজনার উচ্ছ্বাসিত হেঁটে চলা পথে
যখন আর কেউ কারো পথ চেয়ে নেই
দেখা হলো কিনা হয়ে যাবে; কে জানে!

এখন আর আমরা তো পরিচিত নই.....

অপেক্ষা

দেখা হবার অপেক্ষাতে যাপন আমার.....
একদিন দেখাতো হবেই

তারপর একদিন দেখা হবে
কিন্তু;
কেউ কারো কুশল জানতে চাইবো না,
যেনো প্রতিবেশী;  প্রতিদিন আমাদের দেখা হয়.....

কোন উত্তাপ থাকবে না
কেবল দেখাই হবে, কিন্তু; কথা হবে না
দুজন চলে যাবো, না দেখার ভান করে
যেমনটা হয় দুজন ইর্ষাকাতর প্রতিদ্বন্দীর ভিতরে। 

দুর্বোধ্য অপরাধবোধে আমাদের চোখ
চোখাচোখি হতে আসহায় বোধ করে

অথচ দেখা হবে
একদিন দেখাতো হবেই
হয়তো; দেখা না হওয়ার মত করে!