বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

বিপ্লবি- ৩৫



আমার গান তোমার ভাল লাগবে না

এ গানে বিমোহিত সুর নেই, আরাম দায়ক কথা নেই
ঝংকার নেই, নৃত্য উপযোগী তাল নেই
প্রেম নেই, উত্তাল আনন্দ নেই
আমার গান তোমার জন্য তবুও

এই গান শুধু একটা ই চিৎকার
বিপ্লব, শুধু বিপ্লব
এই গান তোমার মুক্তির হুংকার

সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১২

তুমি- ৩০



লোকে বলে আমার একটা ঘর দরকার
আমি ও অনুভব করি আমাদের একটা ঘর দরকার 
আমি প্রবাল পাথর খুঁজতে সাগরে সাগরে ডুব দেই
তোমার জন্যে একটা রক্তিম পাথুরে ঘর বানাবো
পৃথিবীর সবচেয়ে লাল ঠিক সূর্যের মত

এরপর স্থির বসবাস
কিংবা কামার্ত প্রেমিক হবো তোমার
অথবা জীবন দিয়ে যৌবন সাজাবো
অথচ তুমি যদি চাইতে সমুদ্র সাতরে নিঃস্বর্গ বালিয়াড়ি দ্বীপে দ্বীপে
গড়ে নিতাম প্রাকৃতিক সংসার

তুমি যদি চাইতে যৌবন দিয়ে জীবন রাঙানো যেতো 



শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১২

বিপ্রতীপ


 
প্রথম যখন কাগজের ভাজে নৌকা বানানো শিখি 
এর পর থেকে কতবার বৃষ্টির লোভে 
আকাশকে ঈশ্বর বলে ডাকতাম 
অথবা, ঈশ্বরকে আকাশ বলে ভাবতাম 

সাদা মেঘগুলো আমাকে আশা দিয়ে চলে যেতো বারবার 
কিংবা কখনো আমার ঈশ্বর স্বয়ং নেমে আসতো 
স্বতঃস্ফূর্ত জলের সিঁড়ি বেয়ে, বৃষ্টি হয়ে 

তখন খুব যত্ন করে নৌকা বানাতাম 
কাগজের শৈল্পিক ভাজে ভাজে 
আরো একটা ঈশ্বর আবিষ্কার করলাম নিজের ভিতর 
তারপর আমরা যুগল ঈশ্বর মিলে এইবার নৌকা ভাসাবো 
আঙ্গিনার পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা 
মসদগাঁও খালের অনুকূল স্রোতে 

এইভাবে সব ঠিক ছিল 
শৈশবে ঈশ্বর আমার খেলার সাথী 
কিংবা বৃষ্টি এবং স্রোত 

আমার ভিতরের ঈশ্বর খুব ভীতু ছিলেন 
আর ছিলেন প্রথাভক্ত এবং বাধ্যগত 
কাগজের নৌকাগুলো ভাসিয়ে দেওয়ার পর 
যখন সেগুলো দৃষ্টির আড়াল হতো 
খেলা শেষ হয়ে যেতো 

একদিন কোনো এক নতুন ঈশ্বর আমি খুঁজে পেলাম 
আমার কৌতূহলে 
একদিন প্রথা ভেঙে পিছু নিলাম স্রোতের 
আমার ভাসানো নৌকাগুলোর, 
কোমল স্নেহগুলোর খোঁজে 
অনুকূল স্রোতের অবশেষে, 
ঘোড়াদোর কাঠের পুলের পরে 
খুঁজে পেলাম বিভৎস ঘূর্ণিপাক 
আমার কোমল স্নেহের নৌকা 
পলকেই মিলে গেলো কোথায় 

আমি বহুকাল অপেক্ষায় ছিলাম 
একদিন ঘূর্ণিপাক থেমে গেলেও 
আমি আমার নৌকা খুঁজে পেলাম না 
তারপর পেছন ফিরে পেলাম 
কাঠের পুলের বদলে পাকা সেতু, 
আর মসদগাঁও খাল, 
সেখানে এক দুঃস্বপ্নের দেয়াল 

ঈশ্বরও হারিয়ে গেলো কোথায় 
সেও ফেরেনা সেই আঙ্গিনায় 
বুঝতে পেলাম স্রোতের অনুকূলে 
কোন পেছন ফেরা নেই 

আমি তাই স্রোতের অনুকূলে চলি না 
অথবা স্রোত আমার বিপরীতে চলে 
 







মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১২

বিপ্লবি- ৩৪



আমি খুব দ্রুত হাটি
কারন ফুটপাথে নামার আগেই আমি একটা গন্তব্য ঠিক করে নেই
কিন্তু এলোমেলো পায়ের মিছিলে
আমি বারবার থমকে যাই
গন্তব্যহীন মানুষ গুলো দ্বিধাগ্রস্থ

এখন ফুটপাথে হাটতে গিয়ে অস্বস্তি লাগে
আর তাই এখন আর কোন গন্তব্য ঠিক করি না
প্রেম গুলো হতাশ বালিশের নিচে চাপা পড়ে থাকে
সেখানে অন্ধকার একটা বিপ্লবের অপেক্ষায় মৌন মিছিল সাজায়

একদিন বিপ্লবি ঠিক-ই বের হয়ে যাবে অন্ধকার থেকে
(একদিন মানুষ গুলো ঠিকানা পাবে
এরপর ব্রজ্র স্লোগানে বিজয়ী মিছিল হবে
 প্রেমিকেরা দ্রুত বেগে ফুটপাথ ধরে হেটে যাবে প্রেমিকার কাছে)


শেষ তিনটা লাইন কি যুক্ত করা যায় এই কবিতায় 

শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১২

বিপ্লবি-৩৩



একটা বিপ্লবের গন্ধ নিয়ে আমি সারা রাত জেগে থাকি
এখানে সেখানে মাখি আর কোথায় যে রাখি
আমার ঘুম হয় না,
এখন আমি স্বপ্ন দেখা ভুলেই গেছি

এখন আমি সূর্যের গায়ে বিপ্লবের স্বপ্ন আঁকি
এখন আমি চিৎকার করে বিপ্লব ডাকি

বিপ্লবি-৩২



আয়নার শহরে সূর্যের অভিমান
ভাঙা কাচে খুন হয়ে গেছে বিপ্লবি
আধারে আধারে ঠোকাঠুকির বিবর্তন
অন্ধ কলমে হাহুতাশ লিখে যায় কবি

শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১২

কালো কবিতা -২৫



আমাকে সাজা দিতে হলে কিছুটা ধুরন্ধর তোমাকে হতেই হবে
আসলে আমি খুব আলস, ঘুম থেকে দেরি করে জাগি
এবং এর কোন নিদৃষ্ট সময় ও নেই ......
তাই তোমাকেই আর কিছু অধ্যাবসয়ী হতে হবে
আমাকে সাজা দিতে হলে কিছুটা এলো মেলো তোমাকে হতেই হবে
আসলে আমি খুব এলোমেলো হাটি
পুরোটা জীবন গোছাতে গোছাতে কাটিয়ে দিয়ে ভুলেই গেছি গোছাবার নিয়ম
তাই তোমাকেই এলোমেলো সব রাস্তার ধারে লুকোতে হবে


আমাকে সজা দিতে হলে কিছুটা কালো তোমাকে হতেই হবে
আমি খুব একরোখা প্রেমিক
আমি থাকি পরাজিত বিল্পবে
আমাকে কেবল অন্ধকারেই খুজে পাবে

বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১২

খেলা



বিষধর সাপ নিয়ে খেলা করে অন্ধ সাপুড়ে
পরাজিত সাপ বিষদাঁত ভাঙ্গে নিজ মাথা কুটে কুটে

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১২

বিপ্লবি- ৩১



আমার এক বিন্দু আকাশ হলেই যথেষ্ট
একটা কারাগার আমার জন্যে প্রস্তুত করে রেখো
সেখানে কোনো জানালা রেখোনা
এমন কি একটা ছিদ্র পর্যন্ত

তারপরও যদি পারো
বিপ্লব আটকে রেখে দেখিও

শুধুমাত্র এক বিন্দু আকাশ হলেই যথেষ্ট

বিপ্লবি-৩০



আমার হাতে কোন আস্ত্র নেই
আমি শুধু একটা শব্দের অপেক্ষায় আছি
তার পর বুকের রক্তের পরমাণুতে বিপ্লব ফোটাবো
আমি শুধু তোমাদের একটা গান শোনাবো ......।

কালো কবিতা-২৪



চমৎকার সূর্যের সখ্যতা তবুওতো রাত্র আসেই
এই ঘুম তোমাকেই মানায়

নির্বোধ পাপ গুলো আমাদের খেয়ে যায়
যাকে তুমি অন্ধকার বলো
অথচ তোমার দেখা হয়নি রাত্র কখনো
তুমি জানতে চাওনি অন্ধকার কতটুকু কালো

এই প্রেম কোন কিছু নয়, তোমার দুঃস্বপ্নের কাছাকাছি
আমাদের একবেলা নিঃশ্বাস
এই প্রেম তুমি তুমি উন্মাদনায় তোমার বিরক্তিকর উচ্ছাস

এই দিন শেষ হয়ে যায়
অথচ এই ঘুম তোমাকেই মানায়

রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১২

কালো কবিতা -২৩

তুমি কখনো নিঃস্ব মানুষ দেখনি
তোমার চারপাশের আয়না গুলো কালো আলোর সস্তিতে
নগ্ন শুন্যতাকে লুকায়
তুমি এখনো শুন্য হতে শেখনি

দেখা হলে তার থেকে পূর্ণ হওয়া শিখে নিও

শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১২

কালো কবিতা-২২

ছোঁয়াচে উষ্ণতা ঘিরে আমাদের যাপন গুলো দীর্ঘ হচ্ছে
আমাদের বোধ গুলো পড়েই আছে বিষণ্ণ বরফের তলে
আথচ যাপন গুলো দীর্ঘ থেকে আর দীর্ঘ-ই হচ্ছে
আমাদের চোখে কোন উত্তাপ জমে না এখন
আমাদের কবিতা গুলো এখন শুধুই কালো


পরাজিত বিপ্লব গুলো হাহুতাশ করে বিষণ্ণ বরফের তলে

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১২

কালো কবিতা-২১

যত শত জোনাকির হাহুতাস 
কিছু কালো, কিছু শোক, কালো পূর্ণিমা
জাগতিক সূর্যের কোন দায় ছিল না

কালো কালো দাগ পরে গেছে সূর্যের গায়ে
বিলোড়িতো বিপ্লব ছিল  অহেতুক সকালে

সূর্যের কালো দাগে ইতিহাস জমে না
 










বিপ্লবি ২৯

একা একটা শালিকের ভোর হয়
সূর্য লজ্জা পেতে পারে তবুও
সারাদিন ধান ক্ষেতে বিষণ্ণ খোটা খুঁটি
কৃষক লজ্জা পেতে পারে তবুও

আমি একটা বিপ্লব নিয়ে বসে থাকি
এক জোড়া শালিকের আশায়
অশুভ বিকেলে