সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা-৩৬


কাকতারুয়া হতে পেরে আমি অনন্দিত
খুব কালো কালো সকাল দেখে ক্লান্ত হইনা
আমি যাযাবর নই
বিস্তর স্থির আমি ইশ্বরের মত
আমি আনন্দিত, আহা আনন্দ .........

একটা রুগ্ন অন্ধকার
দাড়িয়ে থাকবে সবুজ বিপ্লবে
তার পর কোন দিন রাত আসবে না

শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা- ৩৫



আমার শুন্যতা ভালো আছে
আমার পূর্ণতা উড়ে গেছে বিকেল হয়ে
একটা সাদা বক তার ধারালো ঠোট চুম্বন বিলাপে
একটা সাদা বক সাদাই থেকেছিলো আকাশে উড়েও

কোন এক একলা বিকেলে
ঝরে যাবে আমার ভালো থাকা কালো মেঘ থেকে বেড়িয়ে

শুক্রবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা-৩৪

আগুন পুড়ে গেছে আর জল গেছে ভিজে
সেই ব্যথা নিয়ে বিলুপ্ত ঘাসের শিশির
আজকাল জমাট বাতাসে বরফের ছাই

বিমূর্ত চাঁদ হাহুতশ করে
কোত্থাও কি একটু কুয়াশা নাই

শীতার্ত পূর্ণিমা কালো হয়ে গেছে

তুমি-৩৪



এখোনো আসোনি তুমি
এই ভেবে দুয়ার খুলে রেখেছি এতো কাল
কত শীত
এসেছিল ঝড়ের সঙ্গী হয়ে
ফাগুন আর বৃষ্টিতে এলোমেলো ঋতুকাল

আচেনা বর্ষণ গুলো ফিরে গেছো তুমি হয়ে
কে জানে ফিরে গেছো তুমি কতকাল ধরে

প্রেমিক-৩৯



এখন কথা নয়
এখন শুধু প্রেমান্ধের মতো বেচে থাকবো
এখন কোনো ফুলের গন্ধ নয়
এখন শুধু চিৎকার করে তোমার গন্ধ শুকবো

প্রেমিক-৪৩



এরকম প্রতিক্ষার পরে
আর যত টুকু মনে পড়ে
এরকম আশ্রু
এরকম সময়ের ভুল
অবিরাম নষ্ট বকুল

কেউ আসবে না
ফিরে যাবে সে ও প্রেমিকের মত
অথবা প্রেমিক হয়ে

প্রেমিক-৪২



ঢেউ ছাড়া সমুদ্র হয় না কে বলেছে
এই দেখো একটুও ঢেউ নেই
দেখো , হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখো হৃদয়

একটা শীতার্ত প্রেম জমে জমে সমুদ্র হয়েছে

বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা - ৩৩



প্রেমের আকারের কিছু স্ফুলিঙ্গ ছিটিয়ে ছিটিয়ে কবেই ক্লান্ত হয়ে গেছো
ভুলে গেছো যে শুন্যতা ছড়িয়েছিলে
সেখানে আগুন লেগেছে
প্রেম পোড়া বাতাসে

উত্তপ্ত নিঃশ্বাস গুলো আদতে ছাই ছিলো
 

তুমি- ৩৩



এখোনো কিছু কথা রেখেই দিয়েছি তোমার জন্যে
তবু শুনতে হবে না
এই ভাবে জমে থাক হৃদয়ের বরফ
কিছু উত্তাপ ধার করে নেবো বেদনার কাছ থেকে

কিছু কথা থেকে-ই যাবে চিরকাল তোমার জন্যে

প্রেমিক-৪১



আমার ব্যথা গুল-ই তোমার জন্যে প্রেম
সর্বনাশ হয়ে যাবে অশ্রু গুলো
আমি তো আর সব কিছু লুকোতে জানিনা

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১২

পুরুষ



একদা মানুষ ছিলো সে
এখনো সেই গন্ধ আমি খুঁজি উদ্ভ্রান্ত পোশাকে
চুম্বন তুলে দিয়েছি বিমর্ষ থাবায়
আরো খুঁজে খুঁজে গেছি লোমশ গ্রিবায়
কখোনো কি মানুষ ছিলো সে?


শুনেছি মানুষ ছিলো সে

রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১২

প্রেমিক-৪০



তোমার পুরুষ গুলো এখন মিথ্যা আবর্তে ঘুরপাক খায়
এখনো তোমার বয়ঃস্বন্ধি কালের স্রোত
এইবার যৌবন খুলে বিষাক্ত ফাল্গুন মেলো ধরো
আমিও প্রেমিক হয়ে মিথ্যে হয়ে যাবো ...

শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১২

ভুল কাব্য



আমার ভুল তোমার ভুলের মতো নয়
আমার ভুলে কোনো পাপ পুণ্য নেই
আমার ভুলের হাহুতাশ গুলো প্রেম
তোমার ভুলের ব্যথায় ব্যথায় জমে ...............

আমার ভুলে চক্ষু অন্ধকার
তোমার ভুলের বিজয় সুনিশ্চিত
আমি কেবল ভুলের ঘোরে ভাসি
একাকার ওই তোমার ভুলের হাসি

ভুলের মায়া ভুল ব্যথাতে ভুলুক
তোমার আমার ভুল বাতাসের দুঃখ

শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১২

প্রেমিক- ৩৮



আশাহত রোদ্দুর দেখছি
দেখেছি আহত সমুদ্দুর
হাতের আঙ্গুল ছুঁয়েছিল শুকনো পাতার আগুন
কোথাও কবিতারা ভেসে গেছে কাগজের নৌকা হয়ে
বিষণ্ণ বৃষ্টি আর তোমাদের জলাধারে

তারপর ও পাল তুলে উড়ি
বিজিত নাবিক হয়ে

ব্যাথা - ২

একটা দ্রুতগামি স্বপ্নের সাথে ধাক্কা খেয়েছি
এখন ঘুমতে গেলেই শরীর ব্যাথা করে

বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১২

প্রেমিক-৩৭



কিছু গুছিয়ে বলার মত প্রেমিক ছিলাম না কেবল
রাত ভরা স্বপ্নঘোর গুলো নিঃস্বার্থ মতন
জানালার কাঁচে শিশির জমেছে ওই পাশে
বিষণ্ণ শীতকাল  ডাক দিয়ে যায় আজন্ম বিরহ সকাল

আজ কিছু এলোমেলো কথা ছিল তোমার জন্যে
কাচের ওই পাশে শিশির আস্তর পেরিয়ে আমাদের অচেনা আগামী কাল

রবিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১২

বিপ্লবি-৩৮



যে কোন ভাষায় কবিতা হতে পারে
রক্তের লাল রঙ সকল ভাষাতেই সমান রঙ্গিন
আগুনের উষ্ণতা মেপে যাও যে ভাষাতেই
আমি সেই ভাষাতেও বিদ্রহো লিখতে জানি
আমার মিছিলের মৌন সহযাত্রীরা
দুর্বোধ্য করে দেবে উত্তাপ
এবং তোমার প্রতিক্ষায় থেকে যাবে আরো কিছু অভিশাপ

সদ্য জন্ম নেয়া নবজাতকের কান্নার ভাষায়
খিল খিল করে হেসে উঠে বিপ্লব 

শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১২

বিপ্লবি-৩৭


একটা অশ্রুবিন্দু অনেক কিছু জানে
এরা সত্যের ভিতর প্রবাহিত হয়েছিল
যখন দৃষ্টি নিয়েছিল মিথ্যের আশ্রয়
বিপ্লবি অশ্রু ঝরে গিয়েছিল

মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১২

প্রেমিক-৩৬

জ্বলে উঠা যৌবন লেলিয়ে দিয়েছি তোমার ঠোঁটে
এবং পৌরুষ মেলেছি উত্তাল দৃষ্টিতে
পৃথিবীর সমস্ত প্রেম দিয়ে তোমাকে সজিয়ে দেবো
পৃথিবীর এক মাত্র প্রেমিক হয়ে

প্রেমিক -৩৫




এরকম বিশ্বাস থেকে বিশ্বাসে খেলিনি আর
এরকম দূরবর্তী চুম্বনে তোমাকে জ্বালিয়ে দিয়ে
নিকটবর্তী করবো প্রেম
এরকম শীতকাল শুধু একান্তে একাকার হলে
পরাজয় গুলো আপন ধর্ম ভুলে যাবে

এই নাও সেই গর্বিত পরাজয় তোমায় দিলাম

প্রেমিক- ৩৪


এই ভাবে আমি এলোমেলো হয়ে যাবো
স্বপ্ন বোনার পর্যাপ্ত সুতা নেই
বিষণ্ণ আকাশে  উড়ে গেছে কার্পাস তুলা
এখন বৃষ্টির ঘ্রান ছড়ানো বসন্ত বাতাসে

পরাজিত প্রেম ঘুরে ফিরে অগোছালো স্বপ্নের হুতাশে

সোমবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা - ৩২



দেখবো বলে অন্ধকারের শেষ
অন্ধ হয়ে অবাক হয়েছি
মৃত্যু কে-ই কালো ভেবে বসে থাকো বেশ

অথচ
মৃত্যুর চেয়েও বেশি কালো আমাদের যাপন
আর অহেতুক জীবন

শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা ৩১

দিক ভুলে গেছি আমি
কেবল মৌনতা চাই এখন
থেমে যাওয়া ঝরের মতন
প্রশ্রয় পেয়ে যাওয়া উত্তাপ গুলো এইবার জমে যাক
প্রেম থেমে যাক

আমি বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকবো
প্রাচীন দেবদারুর পাতা গলে বেরিয়ে আসা সূর্যের চোখে


বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১২

বিপ্লবি-৩৬


একটা নিঃশ্বাস আমি আটকে রেখেছি
এবং বুকের যন্ত্রনার মতই বয়ে বেরাচ্ছি
একটা শব্দ উঃচ্চারন করিনি এখনো
মরুভূমির ক্যাকটাসের মত লালন করছি
একটা স্বপ্ন বিস্ফোরণ দেখবো বলে
বহুকাল থেকে আমি ঘুমাইনা




সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১২

বনী ইসরাইল



হিব্রু ভাষাতেও কবিতা লেখা হয়েছিল
হিব্রু ভাষাতেও মানুষ এর প্রতিশব্দ ছিল
হিব্রু ভাষাতেও পিতার স্নেহের প্রকাশ ছিল মায়ের মমতা
এবং প্রেম আর দুরন্ত যৌবনের গান

হিব্রু কবিতা এখন খুন করে নির্দ্বিধায়
হিব্রুতে মানুষের সংজ্ঞা এখন অচেনা পশুর মত

রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১২

তুমি- ৩২

আমার জল পাত্রে বিষণ্ণ অশ্রু ঢেলে 
এক উদাস বর্ষা সজিয়ে দিলে
এখন বৃষ্টির জল কোথায় রাখি 


এ হৃদয় অনন্ত পাথার কতকাল থেকেই

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১২

প্যালেস্টাইন

আমার দুঃখ হয় না তোমাদের গল্প শুনে
তুমি চিৎকার করে বল এটা কোন গল্প নয়
তবু আমি তো শুনছি গল্পের মত করেই
অথচ ইস্রাইলের প্রতি আমার কিছু ঘৃণা আছে উত্তরাধীকারিক
আমার সবুজ পাসপোর্টেও সেটা লেখা আছে
এখানে তোমাদের মৃত্যু আমার দুমুঠো ভাতের সমান্তরাল নয়





শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা ৩০

উত্তর গুলো অপেক্ষাকৃত সহজ প্রশ্ন গুলোর থেকে
ঠিক যেমনটা তুমি চেয়েছিলে
সার্কাসের সং দের মত হতেই চেয়েছি
কিংবা নদীর কিনারায় স্যাঁতস্যাঁতে বালিয়াড়ি
কি নিপুন সমাধান চাঁদ আর প্রেমে 

ইদানিং সহজ সহজ প্রশ্ন গুলো
দ্বিধাগ্রস্থ ভগ্নাংশের উত্তরে বিদ্ধস্ত আমাদের জীবন জাপন গুলো

সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা-২৯



আদতে এই অন্ধকারও মশগুল হয়ে আছে
যেমনটা আসক্ত মাতালের চোখ ও তার বিবিধ ঘোর
দুঃখ ছিল কতেক রাতারাতি ভোর
আমাদের দৃষ্টির ধাধা কেবল আটকে গেছে
অপ্রস্তত নীলিমায়
আদতে এই অন্ধকারও মশগুল হয়ে আছে

আমাদের নেশা গ্রস্থ চোখ
দিগন্তে তাকানো ভুলে গেছে
সেখানে
প্রতিদিন অযথাই সূর্য উঠে

বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১২

তুমি - ৩১

তোমার অস্বস্তির পেছনের কারন খুঁজে পাচ্ছোনা 
এবং এটা অমাবস্যার রাতও নয়
অথবা আকাশ বিশ্বাসঘাতক হয়নি মেঘের উৎসাহে
এটা আলোকিত এবং তোমার-ই উপযুক্ত
এখানে চুম্বনে বাধা নেই কিংবা নগ্ন হতে
কাম সুত্রের সমস্ত বিশেষণ এখানে সাবলিল
এবং প্রত্যাশিত পৌরুষ তোমার সহচর
আর প্রতিবার তোমার তৃপ্ত স্নানে মশগুল মধু সরোবর

অথচ
তুমি অসহায় হৃদয় নিয়ে জ্বলে যাচ্ছো অবিরত
আথবা হয়তো আমার কাছেই তোমার সমুদ্র ছিল

প্রেমিক- ৩৩



আর কোন রিদয় দেখবোনা খুলে
প্রেম থাকলে থাকুক ঝুলে কিংবা উদাস চুলে
আর কোন বিশেষন নেই ফুলে
যেই বেদনা জ্বালিয়ে গেলো রিদয়  
বাস করে যাই সেই বেদনার ভুলে

আহা
প্রেম যে আমার আধারের অনুকুলে



(একটু প্রাচীন ধাঁচে লেখার চেষ্টা/ আধুনিক আর উত্তরাধুনিক তো কম হচ্ছে না কি বলেন সবাই ?)

মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা -২৮



যে কবিতা গুলো শেষ হয়ে গেছে
আমি বার বার সেগুলই লেখি
যে ফুলের গন্ধ শুকিয়ে গেছে
আমি সেই ফুল দিয়ে অযথাই মালা গাথি

বিষণ্ণ বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে গেছে
অথবা সূর্যটাই কালো হয়ে গেছে

শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা -২৭


সতের বছর দেখতে দেখতে কেটে যাবে
আমার বিগত ২০ বছর কেটেই তো গেল,
আমি জানি তার থেকে ভালোই হবে শীতাতপ যন্ত্রের ভিতর একটা শীত ঘুম।
আমার নরকে গুমোট অন্ধকারের ভিতর এখনও সূর্যের নিষ্ঠুর অভিমান।
তার চেয়ে অনেক সহজ ...  সতের বছর দেখতে দেখতেই কেটে যাবে
যেহেতু তোমার কিছু ভুল ছিল সাজার ওজনে
আথচ আমি নিষ্পাপ


অভিশাপ গুলো নিষ্পাপীদের জন্যে
বিপ্লব গুলো আজ অপরাধীর শয্যা সঙ্গিনী
বিপ্লবিরা পরিত্যাক্ত বীর্যের মত পাপ হয়ে ঘুরে ফেরে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া কনডমে কনডমে

বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১২

বিপ্লবি- ৩৫



আমার গান তোমার ভাল লাগবে না

এ গানে বিমোহিত সুর নেই, আরাম দায়ক কথা নেই
ঝংকার নেই, নৃত্য উপযোগী তাল নেই
প্রেম নেই, উত্তাল আনন্দ নেই
আমার গান তোমার জন্য তবুও

এই গান শুধু একটা ই চিৎকার
বিপ্লব, শুধু বিপ্লব
এই গান তোমার মুক্তির হুংকার

সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১২

তুমি- ৩০



লোকে বলে আমার একটা ঘর দরকার
আমি ও অনুভব করি আমাদের একটা ঘর দরকার 
আমি প্রবাল পাথর খুঁজতে সাগরে সাগরে ডুব দেই
তোমার জন্যে একটা রক্তিম পাথুরে ঘর বানাবো
পৃথিবীর সবচেয়ে লাল ঠিক সূর্যের মত

এরপর স্থির বসবাস
কিংবা কামার্ত প্রেমিক হবো তোমার
অথবা জীবন দিয়ে যৌবন সাজাবো
অথচ তুমি যদি চাইতে সমুদ্র সাতরে নিঃস্বর্গ বালিয়াড়ি দ্বীপে দ্বীপে
গড়ে নিতাম প্রাকৃতিক সংসার

তুমি যদি চাইতে যৌবন দিয়ে জীবন রাঙানো যেতো 



শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১২

কালো কবিতা-২৬

শৈশবে যখন প্রথম কাগজের নৌকা বানানো শিখি
এর পর থেকে কতো বার বৃষ্টির লোভে আকাশ কে ঈশ্বর বলে ডাকতাম
অথবা ঈশ্বর কে আকাশ বলে ভাবতাম আর
সাদা সাদা মেঘগুলো আমাকে আশান্বিত করে চলে যেতো
কিংবা কখনো আমার ঈশ্বর স্বয়ং নেমে আসতো স্বতঃস্ফূর্ত জলের সিঁড়ি বেয়ে
আমি খুব যত্ন করে নৌকা বানাতাম
কাগজের শৈল্পিক ভাজে ভাজে আরো একটা ঈশ্বর আবিস্কার করলাম নিজের ভিতর
তারপর আমরা দ্বৈত ঈশ্বর মিলে এইবার নৌকা ভাসাবো   
আঙ্গিনার পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা খালের  অনুকুল স্রতে

এইভাবে সব ঠিক ছিল
শৈশবে ঈশ্বর আমার খেলার সাথি
কিংবা বৃষ্টি এবং স্রোত

আমার ভিতরের ঈশ্বর খুব ভিতু ছিলেন
আর ছিলেন প্রথাভক্ত এবং বাধ্যগত
কাগজের নৌকা গুলো ভাসিয়ে দেওয়ার পর শিল্পের সমাপ্তি হতো
কিংবা আমার ভিতরের সেই ঈশ্বর হয়তো কোথাও পালিয়ে যেতেন
একদিন কোন এক নতুন ঈশ্বর আমি খুজে পেলাম আমার কৌতূহলে
একদিন প্রথা ভেঙ্গে পিছু নিলাম স্রোতের
আমার ভাসানো নৌকা গুলোর, কোমল স্নেহ গুলোর খোঁজে

অনুকুল স্রোতের অবশেষে
খুঁজে পেলাম বীভৎস ঘূর্ণিপাক
আমার কোমল স্নেহের নৌকা পলকেই মিলে গেলো কোথায়
আমি বহুকাল অপেক্ষায় ছিলাম
একদিন ঘূর্ণিপাক থেমে গেলেও আমি আমার ঈশ্বর খুঁজে পেলাম না

এখন আর স্রোতের অনুকুলে চলি না
অথবা স্রোত আমার বিপরীতে চলে  







মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১২

বিপ্লবি- ৩৪



আমি খুব দ্রুত হাটি
কারন ফুটপাথে নামার আগেই আমি একটা গন্তব্য ঠিক করে নেই
কিন্তু এলোমেলো পায়ের মিছিলে
আমি বারবার থমকে যাই
গন্তব্যহীন মানুষ গুলো দ্বিধাগ্রস্থ

এখন ফুটপাথে হাটতে গিয়ে অস্বস্তি লাগে
আর তাই এখন আর কোন গন্তব্য ঠিক করি না
প্রেম গুলো হতাশ বালিশের নিচে চাপা পড়ে থাকে
সেখানে অন্ধকার একটা বিপ্লবের অপেক্ষায় মৌন মিছিল সাজায়

একদিন বিপ্লবি ঠিক-ই বের হয়ে যাবে অন্ধকার থেকে
(একদিন মানুষ গুলো ঠিকানা পাবে
এরপর ব্রজ্র স্লোগানে বিজয়ী মিছিল হবে
 প্রেমিকেরা দ্রুত বেগে ফুটপাথ ধরে হেটে যাবে প্রেমিকার কাছে)


শেষ তিনটা লাইন কি যুক্ত করা যায় এই কবিতায় 

শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১২

বিপ্লবি-৩৩



একটা বিপ্লবের গন্ধ নিয়ে আমি সারা রাত জেগে থাকি
এখানে সেখানে মাখি আর কোথায় যে রাখি
আমার ঘুম হয় না,
এখন আমি স্বপ্ন দেখা ভুলেই গেছি

এখন আমি সূর্যের গায়ে বিপ্লবের স্বপ্ন আঁকি
এখন আমি চিৎকার করে বিপ্লব ডাকি

বিপ্লবি-৩২



আয়নার শহরে সূর্যের অভিমান
ভাঙা কাচে খুন হয়ে গেছে বিপ্লবি
আধারে আধারে ঠোকাঠুকির বিবর্তন
অন্ধ কলমে হাহুতাশ লিখে যায় কবি

শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১২

কালো কবিতা -২৫



আমাকে সাজা দিতে হলে কিছুটা ধুরন্ধর তোমাকে হতেই হবে
আসলে আমি খুব আলস, ঘুম থেকে দেরি করে জাগি
এবং এর কোন নিদৃষ্ট সময় ও নেই ......
তাই তোমাকেই আর কিছু অধ্যাবসয়ী হতে হবে
আমাকে সাজা দিতে হলে কিছুটা এলো মেলো তোমাকে হতেই হবে
আসলে আমি খুব এলোমেলো হাটি
পুরোটা জীবন গোছাতে গোছাতে কাটিয়ে দিয়ে ভুলেই গেছি গোছাবার নিয়ম
তাই তোমাকেই এলোমেলো সব রাস্তার ধারে লুকোতে হবে


আমাকে সজা দিতে হলে কিছুটা কালো তোমাকে হতেই হবে
আমি খুব একরোখা প্রেমিক
আমি থাকি পরাজিত বিল্পবে
আমাকে কেবল অন্ধকারেই খুজে পাবে

বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১২

খেলা



বিষধর সাপ নিয়ে খেলা করে অন্ধ সাপুড়ে
পরাজিত সাপ বিষদাঁত ভাঙ্গে নিজ মাথা কুটে কুটে

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১২

বিপ্লবি- ৩১



আমার এক বিন্দু আকাশ হলেই যথেষ্ট
একটা কারাগার আমার জন্যে প্রস্তুত করে রেখো
সেখানে কোনো জানালা রেখোনা
এমন কি একটা ছিদ্র পর্যন্ত

তারপরও যদি পারো
বিপ্লব আটকে রেখে দেখিও

শুধুমাত্র এক বিন্দু আকাশ হলেই যথেষ্ট

বিপ্লবি-৩০



আমার হাতে কোন আস্ত্র নেই
আমি শুধু একটা শব্দের অপেক্ষায় আছি
তার পর বুকের রক্তের পরমাণুতে বিপ্লব ফোটাবো
আমি শুধু তোমাদের একটা গান শোনাবো ......।

কালো কবিতা-২৪



চমৎকার সূর্যের সখ্যতা তবুওতো রাত্র আসেই
এই ঘুম তোমাকেই মানায়

নির্বোধ পাপ গুলো আমাদের খেয়ে যায়
যাকে তুমি অন্ধকার বলো
অথচ তোমার দেখা হয়নি রাত্র কখনো
তুমি জানতে চাওনি অন্ধকার কতটুকু কালো

এই প্রেম কোন কিছু নয়, তোমার দুঃস্বপ্নের কাছাকাছি
আমাদের একবেলা নিঃশ্বাস
এই প্রেম তুমি তুমি উন্মাদনায় তোমার বিরক্তিকর উচ্ছাস

এই দিন শেষ হয়ে যায়
অথচ এই ঘুম তোমাকেই মানায়

রবিবার, ৭ অক্টোবর, ২০১২

কালো কবিতা -২৩

তুমি কখনো নিঃস্ব মানুষ দেখনি
তোমার চারপাশের আয়না গুলো কালো আলোর সস্তিতে
নগ্ন শুন্যতাকে লুকায়
তুমি এখনো শুন্য হতে শেখনি

দেখা হলে তার থেকে পূর্ণ হওয়া শিখে নিও

শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১২

কালো কবিতা-২২

ছোঁয়াচে উষ্ণতা ঘিরে আমাদের যাপন গুলো দীর্ঘ হচ্ছে
আমাদের বোধ গুলো পড়েই আছে বিষণ্ণ বরফের তলে
আথচ যাপন গুলো দীর্ঘ থেকে আর দীর্ঘ-ই হচ্ছে
আমাদের চোখে কোন উত্তাপ জমে না এখন
আমাদের কবিতা গুলো এখন শুধুই কালো


পরাজিত বিপ্লব গুলো হাহুতাশ করে বিষণ্ণ বরফের তলে

সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১২

কালো কবিতা-২১

যত শত জোনাকির হাহুতাস 
কিছু কালো, কিছু শোক, কালো পূর্ণিমা
জাগতিক সূর্যের কোন দায় ছিল না

কালো কালো দাগ পরে গেছে সূর্যের গায়ে
বিলোড়িতো বিপ্লব ছিল  অহেতুক সকালে

সূর্যের কালো দাগে ইতিহাস জমে না
 










বিপ্লবি ২৯

একা একটা শালিকের ভোর হয়
সূর্য লজ্জা পেতে পারে তবুও
সারাদিন ধান ক্ষেতে বিষণ্ণ খোটা খুঁটি
কৃষক লজ্জা পেতে পারে তবুও

আমি একটা বিপ্লব নিয়ে বসে থাকি
এক জোড়া শালিকের আশায়
অশুভ বিকেলে

শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২

তুমি-২৯



যত বার যাযাবর হতে যাই
ততবারই তুমি গন্তব্য হয়ে যাও

সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বিপ্লবী-২৮


আমি যেদিন নষ্ট হয়েছিলাম
সেদিন কোনো বিপ্লব হয়নি পৃথিবীতে
অথচ এর প্রয়োজন ছিল
অন্তত একটা বিষন্ন বৃষ্টি, অথচ দিতে পারনি

আমার মৃত্যু পৃথিবীকে নষ্ট করে দেবে
অথচ এখন পৃথিবীর আর কোনো বিপ্লব প্রয়োজন নেই

বিপ্লবী-২৭



জোনাকির জমে থাকা স্নেহ জড়ো করে একটা বাবুই পাখি
এসো তবে তার থেকে কিছু বিপ্লব শিখি

প্রেমিক- ৩২


আগুনের ফাঁদে পা দিয়ে আধার খুজি
বিশ্বাসহীন প্রেম পোড়াতে পোড়াতে যে সুখ দিল
পরাজিত সুর্যের কোলে মাথা রেখে বিমোহিত

প্রেমিকের নিয়তি চিরকাল এমন-ই তো ছিল

বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা -৩

কিছুটা পূর্ণ হতে গিয়ে শূন্য হয়ে ফিরে এলাম
তোমার মশগুল অন্ধাকরে 
দ্বিধার বসন্ত গুলো ঠিক মানবিক নয়
এবং কিছু কাটা

আমি হাত ভর্তি দ্বিধাগ্রস্থ শুন্যতা নিয়ে দাড়িয়ে আছি 



কালো কবিতা-২



রাত্রি যাপন শেষ হলে
যে অন্ধকার নেমে আসে
তুমি বিরহের আলোতে মুড়ে ফেল
আর আমি বিদ্রোহ করি .................

আমাদের মৃত্যু গুলো একইরকম
গল্পহীন 

কালো কবিতা-১


অনুতাপহীন পাপ গুলো একে একে পুড়ে যাচ্ছে
উড়ে যাওয়া নকশিকথায় ফুটে যায় ফুল 
জন্মের ঘোরে উদ্ভ্রান্ত অন্ধকার
আমাদের ভুলে ইশ্বর মশগুল

কালো যাপনে
বয়ে যায় সফেদ জীবন


শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা-৬



এখানে একটা ব্যর্থ নদী ছিল
বালিয়ারী জুড়ে পদচিন্হ গুলো এটা বিশ্বাস করেনি
তারা এটাকে পথ বানিয়ে পরিশ্রান্ত করেছে
তারা বহু দূর হতে একটা দাবি নিয়ে এসেছে চিরায়ত বৃক্ষের কাছে

পরিশ্রান্ত পথ যেটুকু ক্লান্তি ফিরিয়ে দিল
সেখানে অনেক উত্তর ছিল

অথচ অভিমানী বৃক্ষরা আমাদের ক্ষমা করেনি

বিল্পবী-২৬


জেগে উঠা দু:খ বোধ আর বিল্পব এক নয়
কষ্টের রাশভারী উপাখ্যান থেকে আরো কিছু কোমলতা সরিয়ে নিলেও
জেগে উঠা চোখ আর জেগে উঠা স্নায়ু
এগুলো বিপ্লব নয় .....................

উদ্ভ্রান্ত সংগ্রামে কেটে যাওয়া ব্যর্থ সকাল
কতিপয় সূর্যের উপহাসে

কষ্টের তীব্র গভীর থেকে একটা নির্মম সত্য জেগে উঠাও 
একবার মানুষের মত জেগে উঠো 

বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কালো কবিতা-৪



খোলস ছেড়ে বেরিয়েয়ে এসেছেন তিনি ......
আমার বিষন্ন দৃষ্টির ক্রোধে কিছু উপহাস
ভিতরে ভিতরে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলি
আমি অনুভব করি ইশ্বরের হাহুতাশ

এখানে আমার কোনো মিত্র নেই
অথচ
কেবল ইশ্বর-ই আমার একমাত্র শত্রু .....

কালো কবিতা-৫


একটা পরিত্যক্ত ঈশ্বর আমাকে অস্তিত্ব দান করে যাচ্ছে
আর আমি জানালার কাচ দিয়ে বাইরে বৃষ্টি দেখি
আমার ইশ্বর কেদে যায় কেবল বুকের ভিতর
আমি সেই সাথে তাল মিলিয়ে ঝাপসা কাচে কোমল দু:খ মাখি

সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বিপ্লবী-২৫



একটা শ্বব্দের শক্তি নিয়ে সন্দিহান থাকি ....
আর বার বার উচ্চারণ করতে থাকি পরখ করতে
এভাবে একসময় ঘুমিয়ে পরি অথবা ক্লান্ত
বিচিন্তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাই পুড়ে যাওয়া বসন্তে

তবু ও দ্বিধাগ্রস্থ ভাবে বিশ্বাস করি
আর সারাদিন ইশ্বরে প্রার্থনার মত জপতে-ই থাকি
বিপ্লব, বিল্পব আর বিপ্লব .........

শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বিপ্লবী-২৪



পৃথিবীর সমস্ত মানুষ অসম্পূর্ণ
পৃথিবীর সমস্ত কান্না আমার জন্যে শুধু
আমি কেবল মানুষ হতে চাই
..আর ...............আমি কাদতে চাই

অথচ বিপ্লবীদের কাদতে নেই

প্রেমিক-৩১



আমি পাশা পাশি হেটে যাই দুরে দুরে থেকেও
আমি বিরহ ভার সইতে জানি না
আমি খুব কাতর কাতর থাকি

এই অমানবিক প্রেম আমি সইতে পারি না

বিপ্লবী-২৩



আমার যেটুকু দেখার সাহস আছে
আমি চোখ বন্ধ করে দেখে নেই সবটুকু
তার পর মুখ মুখী আমি আর বিচলিত তুমি
তারপর মুখোমুখি আমি আর বিব্রত তোমরা

একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জড়ো করা হলো আমার জন্যে
একটা বিপ্লব ছিটিয়ে দিয়ে যাব তোমার জন্যে
একটা চমত্কার প্রেম রেখে যাব তোমাদের জন্যে

বিপ্লবী-২২


আমাকে ঘুমের ঘোরে যেতে হলে প্রয়োজন ছিল কিছু স্বপ্ন
আমাকে পথের খোজে যেতে হলে প্রয়োজন ছিল কিছু উত্তাপ
আমাকে বিপ্লবী হতে হলে প্রয়োজন হলো কিছু পুড়ে ফেলা বসন্ত .....

আগুনের ঘরে বসবাস করে কিছু নিরুত্তাপ

বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কার্তিক মাস



কার্তিক মাসে মানুষের মড়ক লাগে নিভৃতে
কিছু মন এলোমেলো ডুকরে কাদে
অশ্রু মিশে যায় নবান্নের বিলম্বিত বর্ষাতে 

পৌষের ভাপা পিঠায় মিশে থাকা শোক
বিষণ্ণ ধোঁয়ায় ধোঁয়ায় 
উষ্ণতা দিয়ে যায় সমবেদনাতে

শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১২

সম্পুরক


অর্থহীন সুন্দরী নারী আর আমার মৃত্যু
অনেক সম্পুরক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে
কিংবা প্রেম ...... আর আমি উদ্ভ্রান্ত স্বপ্নের পরিনাম নিয়ে দিধাগ্রস্থ

কিছু খাদ্যের ঘ্রাণ রেখে যেতে হবে
আমি মানসিক ভাবে মানবিক হতে গিয়ে
বিসর্জন দিয়েছিলাম সুন্দরী তারে ........
অথচ মৃত্যু না ছাড়ে আমারে ....আমি উদ্ভ্রান্ত স্বপ্নের পরিনাম নিয়ে দিধাগ্রস্থ


আমার জন্মের দায় আমি প্রেম কেই দিতে চাই
কিন্তু আমার জন্ম ছিল খাদ্যের সীমাবদ্ধতায়

অর্থহীন সুন্দরী নারী আর আমার মৃত্যু
অনেক প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে-ই চলে যায়

বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১২

কালো কবিতা-৭



আমি ভুল করে বিপ্লবী চোখ খুজি ব্যর্থ শহরে
হাহাকার জেগে থাকা বিষন্ন বহরে
তাড়া খাওয়া মানুষের ভীর দেখে আমি বার বার ভুল করি......

আসলে বিপ্লব নয়
কোনো বিপ্লব পরাজিত মানুষের নয়

বৃহস্পতিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১২

অংক



অসংখ্য সংখ্যালঘু মানুষ আমাকে ঘিরে ফেলেছে
আর আমি একা
আমি তো একা-ই

আমি যখন একা তখন আমার মনে হলো আমি মানুষ না
অথবা তোমরা মানুষ না
অন্তত তোমাদের মতে .... তোমাদের চোখে চোখ আমি রাখি নির্দ্বিধায়
আমাদের প্রশ্ন গুলো হোচট খেলে
একটা সারাদিন বৃষ্টি হবে .... তার পর অবিরাম
আমার উপরে ফেলা চোখ থেকে জল ঝরে যাবে

সংখ্যালঘুর হিসাব তোমরা মেলতে পারবে না

ব্রে



ছড়িয়ে থাকা তাসের বান্ডিল
উল্টানো ইস্কাবনের বিবি, পরিত্যক্ত বিছানায়
প্রতিবার সর্বস্ব খোয়ানোর বাতিকে পরাজিত হয় প্রেম

এমন ও খেলাও নাকি আছে তেরটা হৃদয়
দিয়ে একটা কালো প্রেম নাকি জয় করা যায়
প্রতিবার-ই আমার কিছুটা হৃদয় ফসকে যায়

হৃদয়হীন পুরুষেরা চিত্কার করতে থাকে
ব্রে..... ব্রে.....ব্রে .....
জয়ী হওয়া পুরুষেরা চিত্কার করতে থাকে
ব্রে..... ব্রে.....ব্রে .....

প্রতিবার সর্বস্ব খোয়ানোর বাতিকে পরাজিত হয় প্রেম

বুধবার, ২২ আগস্ট, ২০১২

কালো কবিতা-৮

কালো কবিতা-৮

তোমার কুমারিত্ব কে শ্রদ্ধা করিনি
সততার বিশ্বাসে চুম্বন ছেড়েছি বাতাসে
ঘন রাতেও তোমার ঘরের বাতি নিভলো না
বেচারা প্রেম উবে গেল কামের হুতাশে

প্রেমিক-৩০ (জলপরী)



অভিযান ফেলে রেখে একজন নাবিক
একটি জলপরীর প্রেমে পড়ে ........
আর সেখানে ধ্রুপদিরা থেমে যায়

কতকাল পরে
জলপরী আসে
নাবিকের বেধে রাখা নোঙ্গরের আশে পাশে
নাবিকের চোখ হতে নক্ষত্র খসে যায়

ল্যাংস্টন হিউজেস এর থেকে ভাব ধার করে

মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১২

প্রেমিক-২৯

তোমাকে পড়ে শোনাব কবিতার কিছু অংশ বিশেষ
কিন্তু পুরো কবিতা টা তোমার জন্যে না
বাকিটা শুধু আমার জন্যে .... একান্ত
বাকিটা শুধু দু:খ দিয়ে মোড়ানো ..............

একদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম তোমাকে দু:খ দেবনা .....
একদিন আমি তোমার প্রেমিক হয়েছিলাম ......

সোমবার, ২০ আগস্ট, ২০১২

প্রেমিক-২৮


পরাগের ভুল থেকে যে প্রেম গড়িয়ে এলো আমার দুয়ারে
সেখানে আমার ও কিছু পাপবোধ ছিল....... আর দ্বিধা
আমার ও কিছু অযোগ্যতা ছিল .... অনুরাধা ............

প্রেমিক -২৭


মনে কর একটা নির্বাসিত দ্বীপে আমি
আর তোমার সমুদ্রতটে ভেসে বেড়ানো শেওলা রা আমাকে ঘৃনা-ই করে
যাবত যাযাবর ছিলাম সুখের হুতাশে .. এ আমার কি হলো
একটা স্থবির প্রেম চেপে গেল ঘাড়ের উপর
অথচ তোমার সমুদ্রতটে ভেসে বেড়ানো শেওলা রা আমাকে ঘৃনা-ই করে

প্রেমিক- ২৬


এখনো ঘৃনাকে অস্বীকার করেই বেচে আছি
তার চেয়ে বড় কথা রাতারাতি বৃষ্টির মোহে পরিনা
যথারীতি কিছু যাযাবর সঙ্গী জুটেছে

কিছু কিছু দীক্ষার ভারে
এখন কিছুটা অস্থির, আর কিছু বসন্ত ভুক হতে চাইলে
এখনো প্রশ্রয় পাবে প্রেম

এখনো পথের চোখে আপন চোখ পড়লে চমকে উঠি
তোমার চোখ তুমি কত চোখে ধারণ করেছ কে জানে
অথচ ঘৃনাকে অস্বীকার করেই বেচে আছি.........

ব্যর্থ ইতিহাস



প্রতিদিন রোজ ফুল তুলে ফিরে যায় তরুণী
আমাদের জানা ছিল সে আমার জন্যে নয়
ফুলের ও পরাগ থাকে, কিন্তু সে জানতনা সব .......

আর তাই ঘ্রাণ দিত প্রাণ ভরে মোরে
আমি খুব দ্বিধায় থাকি নিশ্বাসে প্রশ্বাসে ........
যদিও স্বর্গ সাজাতো নারী, আমি ইশ্বর হতে চাই নি
তবু কি নিপুন প্রেম ছিল আমাদের বিশ্বাসে

আমাদের জানা ছিল সে আমার জন্যে নয়
আমাদের প্রেম ছিল, ইতিহাস গুলো নয়

ইতিহাস ভেঙ্গেচুরে



একটি ভাঙ্গা কাঁচের টুকরায় একটি বসন্ত ছিল
আর সেখানেও হাহাকার ছিল জন্মের
তোমাকে প্রজন্ম নাম দিয়ে আমি ইতিহাস হব ..... ইতিহাস ভেঙ্গেচুরে

এবং সবুজ বৃক্ষগুলো ও তার রঙিন ফুল, যাকে বসন্ত বাল যায় কিংবা বলে থাকি
ভাঙ্গা কাঁচের টুকরা আবার ভাঙ্গি .....
যথারীতি প্রজন্ম ..জন্ম ...প্রজন্ম
যথারীতি ইতিহাস

এখনো বসন্ত দেখি
ইতিহাস ভেঙ্গেচুরে
কবেকার প্রাকৃতিক নিয়ম থেকে

(রবার্ট ফ্রস্ট এর কবিতা থেকে ভাব ধার করে )

অভিবাস


ভেজানো দরজায় কিছু স্বপ্ন রেখে দিলে
আর কিছু জন্ম অতিক্রান্ত হতে হতে
সে স্বপ্নের ভিতর-ই ক্লান্ত

সেখানে মানুষ
যাযাবর হতে চায় মৃত্যুর সুখে

বসবাস দাড়িয়ে-ই থাকে ঈশ্বরের হাত ধরে

কালো কবিতা-৯



আমার ভিতরে যে অভিমানী ঈশ্বর আছেন
আমি তোমাদের সেটা খুলে দেখাবো
চিরে ফেলা হৃদয় থেকে যেটুকু রক্ত ঝরবে
সেটুকু আমার দাবি
দাবি থেকেই যাবে ...... ঈশ্বর যদি তার দায় নিতে পারে
আমি তোমাদের সেটা খুলে দেখাবো

অথচ আমার চোখে
ইশ্বরের অশ্রু ঝরে

বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১২

রোগ



চশমা পরার খুব শখ ছিল এক কালে
অথচ আমার চোখের কোনো রোগ ছিল না .......
আরো বেশি সমস্যা হলো, পাওয়ারলেস চশমা গুলো বড্ড বেমানান মনে হতো আমার চোখে
আমার ভিতরে হাহুতাশ ছিল, আক্ষেপ ছিল ..................

একবার উশৃঙ্খল একটা বৃষ্টির ফোটা আমার চোখে আশ্রয় নিয়ে ছিল
আর আমি ব্যবস্থাপত্রে একটা চশমা উল্লেখ করতে তাকে ব্যবহার করেছিলাম

বিপ্লবী-২১



মেপে মেপে সময় খরচ করেছি
মেধাকে বিশ্লেষণ করেছি খন্ড খন্ড করে
তার পর বিপ্লব নিয়ে পথে নেমেছি
ভন্ডের চোখ গুলো উজ্জল থেকে উজ্জল তর , এক একটা ধ্রুপদী নক্ষত্রের নকল
আমি হায় দিশেহারা পথিক হেটে-ই চলেছি 

এক ফোটা মৃত্যুর বৃষ্টি হোক
তোমাকে বিপ্লব দেবো
তোমাদের বিপ্লব দেবো
আমাকে ও দেবো প্রসারিত গর্বের বুক

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১২

তুমি- ২৮

এখনো বৈশাখী বিকেলের ঝড় আশ্রয় খুঁজে দিগ্ব বেদিগ্ব
বিদিশার ও কিছু ধুলো উড়া কষ্ট থাকে
অথচ তোমার আচল ....
কি প্রসস্থ বিশ্ব লুকিয়ে রাখে .........

বিস্মিত ঝড়ের প্রলাপ
প্রেমিক হৃদয়ে লুকায়
খুঁজে নিও সেই তোলপার
কদচিত অনুকম্পায়

শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১২

প্রেমিক-২৫


কবে আর ফেরা হবে  আমাদের
আমাদের চোখ গুলো এখনো বিভোর ছিলো
দিশাহীন ফাগুনের অশ্রু ছিটিয়ে

শেষ পথ ও আমি ভুল করে বসে আছি
খসে পরা তারাদের দায় কাধে নিয়ে

সংসার

ঘর পুড়ছে, মন পুড়ছে, পুড়ছে নদীর জল
অশ্রু জমে কাতর হলো আকাশ ছল ছল

শোক


নিরবতার একটা বিষন্ন রোগ আছে
সেটা সংক্রামক আর শুধু ছড়িয়ে-ই যাচ্ছে
আমি হাত পা গুটিয়ে রাখি
সংযত ঠোটে জল পান করি
এখন আর উদ্দাম নেই শরাবের রাতে

ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চিত্কার গুলো
নিস্প্রভ-ই থেকে গেল পূর্নিমা রাতে

মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১২

বিপ্লবী-২০

বিশ্বাস রেখো এখনো সবুজের বুকে
তুমি যত টুকু ঝর দেখাবে ..সবটুকু নেবে শুষে
আমাদের মুঠো ভরা স্বপ্নের ডাকে
চল হয়ে যাক সেই বিপ্লব গুলো

সবুজের ক্ষোভ গুলো জমিয়েছি এতকাল আগুনের তুষে

রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১২

তুমি- ২৭


এখন বৃষ্টির পরে পরেই রোদ
দিনকাল চলে যায় বিরহ বিলাসে
নতজানু চোখের কোটরে সাদা কালো ছায়া খোজা খুজি
খুঁজে পেলে দেখে নেব রক্ত জবা কতটা মলিন
কত আর ঘ্রাণ বাকি আছে শুকনো গোলাপে
তোমাকে জানাতেই হবে ..... খুঁজে পেলে

রংধনু থেকে প্রেম চুরি করার সাহস আমার ও ছিল

শনিবার, ৭ জুলাই, ২০১২

প্রেমিক-২৪



ভাঙ্গা দরকার কিছু হিমায়িত স্বপ্নের আকাশ
মেঘ বৃষ্টি ঝরে গেলে অশ্রু অসীম হোক
কত খানি বিভোর ছিল আমার নির্বোধ চোখ 
শরতের ফুল  আমি ভুল চোখে
ভুল রং গুলো মেখে মেখে
একেছি পার্বন শুনেছি উত্সবের গান

অথচ বৃষ্টির দায়
কিছু থেকেই যায় হিমায়িত প্রেমের গায়

প্রেমিক- ২৩



কবি তার অশ্রুকে সমৃদ্ধ করে প্রেমিক হয়েছিল
কিছু কিছু আগুন জ্বেলেছিল বুক পেতে রেখে
সব কিছু মিলিয়ে
একটা ব্যথা ভরা কবিতা-ই শুধু পেয়েছিল

বিসর্জিত কবিতারা এতকাল পরে
হুতাশের অশ্রু ফেলে
কবিতারা সব কিছু মেনে নেয়, কবির প্রেমিক হওয়া অথবা প্রেমিকের কবি

অথচ প্রেমের আগুনে পুরে কবিতা গুলো জ্বলেগিয়েছিল

রবিবার, ২৪ জুন, ২০১২

তুমি-২৬



হাতের মুঠোয় আকাশ ধরে ঝাকিয়ে দিলাম
বৃষ্টি হলো .... প্রেম হলো না
কেমন কেমন বর্ষা ঋতু চোখের জলে ভাসিয়ে দিলাম
উঠান তোমার প্রেম বন্যায় হাবুডুবু
তুমি কেবল জল ছুলে না

সারাটা কাল বৃথা-ই গেল
ঝর অঝোরে বৃষ্টি হলো
প্রেম হলনা .......
তুমি কেবল জল ছুলে না

কদম ফুলের পরাগ গুলো নষ্ট হলো

প্রেমিক- ২২


বৃষ্টি আর প্রেম নিয়ে আমি বিভ্রান্তি তে থাকি
যখন বৃষ্টি ঝরে তখন মনে হয় প্রেম মূলত তোমাকে পেতেই হবে
অথচ তোমার বিরহে জ্বলেই আমি প্রতিবার প্রেমিক হই

তোমার বিরহে  জ্বলে-ই প্রেমিক মেঘ হয়ে উড়ে যাবো
আর তুমি বৃষ্টির ঘ্রাণে আমার প্রেম খুঁজে নিও

তুমি-২৫



ঋতু বদলেছে
এখন বৃষ্টি ছুয়ে তোমার অশ্রু অনুভব করি
বিশ্বাস কর আমি ভালো নেই

আগামী বর্ষণে কিছু সান্তনা খুঁজে নিও
বৃষ্টির জলে যেটুকু-ই ভিজো আমাকে অনুভব করে দেখো ......

এখন তোমার বর্ষাকাল গুলো
ঠিক আমার বর্ষাকালের মত
এখন তোমার অশ্রু গুলো ঠিক আমার-ই অশ্রুর মত ....

শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১২

বিপ্লবী-১৯




এখনো তোমাতে কিছু দুর্লভ কালো স্বপ্নের বীজ অংকুরিত হয়
তোমার চেহারাটা ইদানিং খুব দেখা যায় লাল কালো রঙিন পর্দায়
মনে হয় শুধু ভুলে গেছো মানুষের রক্তের রং
ইদানিং তুমি ভুলে যাওয়া পরিচয়ে নতুন সজ্ঞা বসাও

আমাকে শিখিয়োনা
কত খানি চোখ বুজে অন্ধ হতে হয়
কত গুলো লাল চোখে বিপ্লব হয়

রবিবার, ১০ জুন, ২০১২

বিপণন

আমি আমার মৃত্যু বিক্রি করতে চাই
যখন সেটা একটা কবিতা হবে, তুমি আপ্লুত কান্নার সুযোগে
কিছু কিছু সুখ পাবে
কখনো সেটা ঝর  বৃষ্টি হবে
তোমার অশ্রু গুলো শুষে নিয়ে আপন প্লাবনে

আমি চাই সেটা একটা বিপ্লব হবে
জোয়ার ও  যৌবনে একাকার

বুধবার, ৬ জুন, ২০১২

তুমি-২৩


কিছু হলেই মানুষ ভাঙ্গ
একটু হলেই ভেঙ্গে যেত মরু ভূমি
একটু হলে মরিচিকার প্লাবন তোমায় ভাসিয়ে নিতো

ভুল শুকালে আবার এসো
হাহাকারের বর্ষা দিয়ে ভাসিয়ে দেব

তুমি-২৪

এত কিছু জানা ছিল না শুষ্ক ঠোটে
সেখানে শিমুলের বাসা হাক ডাকে ভালোবাসা
তোমার চুম্বনের লালসা পোড়াচ্ছিল

ছুয়ে যাওয়া আগুনের বর্ষণে ভেসে যাই

শুক্রবার, ১ জুন, ২০১২

ব্যয়


বিকৃত অশ্রু গুলোও মুক্তোর মত
কেননা সেখানেও পরিহাস ছিল, পাপ ছিল
এর পরও আমি কাঁদি.. খানিকটা জল সেখানেও ঝরে

কালো কবিতা-১০


মাঝে মাঝে মানুষ হতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে মানুষের মত ডাকাত হতে কিংবা পবিত্র
অবিরাম অংক করে করে মানুষেরা যেভাবে হাসে
ইচ্ছে করে একবার হিসেব করে দেখি
অথচ আমি হিসেবের বেহিসেবে চমকে উঠি


অনুধাবন না করেই আমাকে স্পর্শ করেছ
তুমি সেই থেকেই  অভিশপ্ত

বুধবার, ৩০ মে, ২০১২

প্রাকৃতিক



মনে হতে পারে অসমাপ্ত করে রেখেছি
মনে হতে পারে আরো ফুল আছে ফাল্গুন উন্মুখে
সেরকম কিছু বসন্ত স্রোতে আমি ভেসে ভাসে যাই

অথচ পেছনের সব শেষ করে করেই
সার্থক হোক তোমাদের স্বার্থের বড়াই

কালো কবিতা-১১



জন্মের দোষে আজন্ম লালন করি রক্তের দায়
আমার অভাগা ঈশ্বর শুধু দেখে যায়

মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১২

তুমি-২২

সর্বশান্ত মেঘ ঝরে পরে 
সেখানে বৃষ্টির দায় কতটুকু 
যেটুকু হৃদয় ছিল অবিক্রিত 
কেড়ে নিয়ে গেল তোমার অভিশাপ টুকু 

ভেসে যাওয়া বসন্তে কোনো অনুদান রাখনি

শুক্রবার, ২৫ মে, ২০১২

কালো কবিতা -১২



রাতারাতি ডুবে যাচ্ছি
ভাসমান বোধশক্তি অকেজো কাঠের নৌকা
সত্যের গন্ধ মাখা মিথ্যার কুঠারে ক্ষত বিক্ষত

আহাজারি করে লাভ হলো না
সত্য বিভ্রান্ত মিথ্যার-ই প্রতিচ্ছবি

খোজ

প্রতিদিন মৃত্যু আমার কাছে আসে
পায়ের কাছে বসে থাকে
প্রতিবার সত্যকে খোজার সময় আমি তাকে অনুভব করি
চিরস্থায়ী সত্য শুধু মৃত্যু-ই জানে

সোমবার, ২১ মে, ২০১২

বিপ্লবী -১৮


কিছু মাথানত মৃত্যুর দায় নিয়ে নিলাম
আহত দোআশে সপে দেব বিপ্লব
পলাতক প্রেম খুঁজে পাবে দোআশের ঘ্রাণে

বিগত প্রেমিক বিপ্লবী এখন দোআশের টানে

রবিবার, ১৩ মে, ২০১২

মা

আমি একটা শ্বব্দ জানি 
একটা ভাষা একটা মাত্র শ্বব্দ দিয়ে 
এক পৃথিবী অল্প-ই খুব সেই শ্বব্দে 
সেই শ্বব্দ খুব যতনে পুষে রাখি

বুকের ভিতের মাগো শুধু তোমায় ডাকি

শনিবার, ১২ মে, ২০১২

কালো কবিতা-১৩



ব্যার্থ সঞ্চালনে হৃত্পিণ্ড ঋণী রক্তের কাছে
তাই দায় হীন পেশীর বিদ্যুতে
বিপ্লব মরে যাচ্ছে মাথা কুটে

শুক্রবার, ১১ মে, ২০১২

প্রেমিক-২১



তুমি দু:খ বলতে যা বুঝো, ওরকম নয়
তার থেকে বেশি কিছু ভালবাসা বুঝি
তবু সব কিছু প্রেম নয়
দু:খ উড়িয়ে উড়িয়ে ভালবাসা খুজি

অথচ প্রতিবার দু:খরা জয়ী হয়

প্রেমিক-২০




উপেক্ষার দ্বিধায় তোমার সরল রেখায়
প্রকাশিত হব,
তবুও প্রেমিক হব

তুমি-২১



তোমাকে ছুলে নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে যেত
তুমি বলেছিলে বুকপকেটে বাতাস ভরে রেখো

বহুকাল জামাতে বুকপকেট লাগাইনা
নিকট মৃত্যুর মত প্রেম বড়ই স্পর্শকাতর

বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১২

তুমি-২০




উত্সুক রোদ উকি দিলো পাজর পেরিয়ে
এত উত্তাপে তুমি বেসামাল প্রেম দেখা পাবে
তবে কি আমায় ছুবে ..........

প্রেমিক -১৯




ভেতরে আরো কিছু আগুন ছিল
তোমার পিপাসা ফুরিয়ে গেলো
অসমাপ্ত ফাল্গুনে 
প্রেমিক জ্বেলে দিল কৃষ্ণচূড়া

বুধবার, ৯ মে, ২০১২

বিপ্লবী- ১৭



কিছু আলো অপূর্ণ থাকলে জোনাকির অভিমান ভাঙ্গে
রাত্র আর আধারের যুগল বিলাপে
লজ্জিত চাদ ও নত হও জাকালো জোনাকে

জোনাকির সূর্য অস্তিত্ব রাখেনা
জ্বলিয়ে বাচুক জ্বালিয়ে আগুনের পাখনা

কালো কবিতা-১৪



জবাবের খাতায় কিছু নির্বোধ সমুদ্র লিখেছি
তোমার প্রশ্ন গুলো
সারা রাত আধার একে গেলো ... শূন্য দৃশ্যপটে
উদ্ভ্রান্ত মৃত্যুর কাছাকাছি জীবনের দায় নিয়ে .....

মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১২

যে কথা গুলো ভাঙ্গতে হবে


যে কথা গুলো ভাঙ্গতে হবে
সেগুলো একে একে নরম রাবারের মত হয়ে যাচ্ছে থলথলে
পেচিয়ে যাচ্ছে .... আমার সমস্ত শক্তি এখন অর্থহীন
সুযোগের ব্যবহার করে ফেলা তোমার আদতে
আরো কিছু শ্রবণ ... আমি কেবল পেচিয়ে যাচ্ছি
জালে আটকে পরা মাছের মত
এলোমেলো কবিতার শক্তি ফুরোচ্ছে দ্রুত

কথা গুলো আমাদের বিভ্রান্ত করে
কথা গুলো মানুষের কথার মত এবং প্রথমত নিখাদ শক্ত
কথা গুলো অনুরূপ দর্শনে মহান প্রতিম
অথচ সেগুলো মিথ্যে ... সেগুলো মিথ্যে ?
কথা গুলো ভাঙ্গতে হবে ... ভাঙ্গতে হবেই .....

তর্কের খাতিরে আর তর্ক করবো কত
আমার সমস্ত শক্তি এখন অর্থহীন
এলোমেলো কবিতার শক্তি ফুরোচ্ছে দ্রুত

রবিবার, ৬ মে, ২০১২

প্রেমিক-১৮



কত কিছুই তো তোমার জানার বাইরে থাকে
যেমন, খোপার ফুলের রুগ্ন পরাগ
কিংবা দৃষ্টিক্ষুধার বিক্ষোভে ক্লান্ত যুবকের চোখ


শুধু প্রেমিক জানে
বিবর্ণ প্রতিক্ষার বিপ্লব

প্রেমিক ১৭



এখনো দ্বিধাগ্রস্থ পথিক
আর তোমার সড়কের প্রহরীরা এখনো এসব বলাবলি করে
আমি মহাবীর নই, ভালবাসার শেকল আমারই পায়ে

তোমাকে কি বলে দেবে কেউ
ভালবাসার শেকল আমারই পায়ে
যাযাবর প্রেমিক আমি, প্রতারক সময়ের দায়ে

শনিবার, ৫ মে, ২০১২

প্রেমিক-১৬



অনুভুতিটা ভেতরে আছে
থেকে যাবে মৃত্যু অবধি
তুমি থাক আর নাই থাক
প্রেম করে যাব নিরবধি

প্রেমিক প্রেমিক অনুভুতিটা থেকেই যাবে

বিপ্লবী-১৬

তুমি মানুষত্ব বিক্রি করে জীবন কিনেছ দারুন 
আমি মৃত্যুর দাম দিয়ে মানুষ হয়েছি 
তোমার চোখের ফানুসে বিপ্লব রেখে যাবো এখন 

মৃত্যুর চোখ ফাকি দিয়ে আমার জীবনের ইতিহাস মেপে দেখো 
তোমার তো আবার মৃত্যু হয় যখন তখন 

মানুষ বিপ্লব করে 
মানুষের মৃত্যু হয় না 

বুধবার, ২ মে, ২০১২

বিপ্লবী-১৫



তারপর ও বেচে থাকাই কিছু সহজ সমীকরণ
মৃত্যু এখনো জটিল থেকে জটিলতর
সাহসী নাবিক মূলত ঝড়ের ভয়কবলিত নয়
অথচ তারাহীন রাতে অসহায়
এখনো মৃত্যু মানেই আরো কত কিছু

জীবন যেখানে নির্মম
সেখানে মৃত্যু মূল্যহীন, কোনো সমাধান নয়!

আমি তোমাদের বলি, মৃত্যু কোনো অংক নয়
সুতরাং বিপ্লবে কেন ভয় ?

মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১২

বিপ্লবী-১৪

কল কব্জা আওয়াজ তুলতে জানে 
মূক শ্রমিকের উত্পাদিত প্রাণে 
রক্তে তাদের দুরন্ত বিপ্লব 
ঘামের বিজয় নিবির উত্পাদনে

সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২

তুমি-১৯




আমার দুরন্ত বেলাগুলো মৌমাছি হয়েছিল
তুমি কি ফুল ছিলে
মধুর মোড়কে কি ভিশন বিষ দিয়েছিলে

সেই বিষে আজও আমি মরে যাই
মরে যাই
আমাদের চারপাশটা অন্ধকার ফাল্গুনে বোঝাই

রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১২

বিপ্লবী -১৩



প্রজাপতি পাখাতেও বিপ্লব রচনা করে
অথচ বিপ্লব তোমার অশ্রুতে অশ্রুতে ঝরে
যে বিপ্লব প্রজাপতি জানে
সে বিপ্লব তুমি কেন জানো না

নষ্ট ফুলের পরাগে আমাদের বিপ্লবের ঠিকানা

বিপ্লবী-১২



আমি আমার মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্ত নই
তাই যখন ক্ষুধার্ত হই, মৃত্যুকেই বের করে করে খাই
সুতরাং তুমি পরাজিত হবে
মৃত্যু ও ক্ষুধার যৌথ বিপ্লবে


শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১২

বিপ্লবী ১১

আমদের বিপ্লব এখন গণিকার চোখের ভিতর 
আমি সেই অশ্রুর অপেক্ষায়

বিপ্লবী-১০



জোনাকির মৃত শরীরে ধানের গন্ধ ছিল
এখনো বিপ্লব অবিরত জ্বলে আর নিভে
প্রমানিত হলো
বিপ্লবী জোনাকিরা কৃষক ছিল

এখনো বিপ্লব অবিরত জ্বলে আর নিভে

মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১২

বিপ্লবী-৯



পরিচিত হোক রক্তের অনু পরমানু
তিতকুটে লবনের স্বদে কিছু নতজানু গুলো
এই বার কিছু গোলাপের ঘ্রাণ দায় শোধাবে
এই বার বিপ্লব হোক লোহিত লবনে

বিপ্লবী-৮



আকাশ পেয়েছি কিছু উত্তরাধিকারে
কিছু বাতাস জন্মে সেখানে
মাঝে মাঝে সূর্য আর কিছু জোনাকি বেড়াতে আসে

খুব লোভ হলে উকি ঝুকি দিও
বিপ্লব জমা হবে উদাস হুতাশে তারপর
কিছু ঝর কেড়ে নিও বৈশাখ মাসে

বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১২

বিপ্লবী -৭


বিপ্লবী -৭

ভেতরে সে আছে
কিছু সবুজ আর কিছু অমৃত আগুন নিয়ে
ভেতরে ভেতরে

কাছাকাছি স্বপ্নের ঢেউ
দুলিয়ে ভুলিয়ে
কিছু অশ্রুর সাহসে আমি খুব মৃদু
মৃদু থেকে মৃদুতর ডাকি

ভেতরে ভেতরে সারা দিচ্ছে কেউ
আমি জানি

দেখেনিও ঝর হবে অভিমানী

বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১২

তুমি-১৮



ভেতরে কিছু পুড়ে গেল
সেখানে একটা নদী ছিল আর অযথাই কিছু ঝর বাসা বেধেছিল
সব পুড়ে গেল

পলকের বার্নিশ করা উদ্দাম আগুন
কিছু রাত বাকি ছিল সেও অযথাই
সব খেয়ে নিল
রাক্ষসী সব খেয নিল

ভালবাসা আহত পাখির ডানায়
ভর করে অজানায় চলে যায়

তুমি দারুন সাজতে জানো।।

প্রেমিক ১৫


কিছু তোলপার তোমাকে পুড়িয়েই যাবে
কিছু তোলপার অবশেষে ছাই জড়ো হবে
তেমন কিছু মেরুন রঙের ছাই ছিটিয়ে যাব প্রেম বিলাপে
কিছু সুখ নিয়ে নিতে পারো সেই পরাজিত গোলাপে
সবই তোমার জন্যে শুরু
সবই তোমাকে নিয়েই শুরু

প্রেমিকের তোলপার আজীবন বেচে রবে

মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১২

যেহেতু মৃত্যু আছে



আমি এক থোকা কৃষ্ণচূড়া ঘিরে
কিছু কিছু মৃত্যুকে ভোগ করি
খুব বিবর্ণ তুমি আর আমি, খুব রঙ চঙে অশ্রু ঝরাই
শুধু করজোড় আর করতালি করে বেচে থাকে
বিষন্ন সমাজ

যেহেতু মৃত্যু আছে
অযথাই ভুল গুলো বেচে থাকে

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১২

কালো কবিতা-১৫



মুখ ভরে থুতু আসে
ডাক্তার বলেন রোগ হয়েছে ... তুমি অসুস্থ
আমি থুতু গিলে ফেলি ...... বমি বমি আসে তবুও

আমি থুতু গিলে ফেলি ........
আমি প্রমান করি আমি ঠিক আছি ..খুব ঠিক আছি

বাবুল নকরেক কে উত্সর্গ করলাম 

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১২

শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১২

কালো কবিতা-১৭


সূর্যের কথা বলতে গিয়ে বার আধার কেই টেনে অনি
আধার বিলাসের সুখ বন্টন করি চোখ হতে চোখে .....সমস্ত আলো অবধি
তীব্র ক্লান্তির প্রশান্তি নিয়ে ফিরে যাই আবার আধারে

তুমি ভালো থেকো আলোকিত শহরে

শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

বিব্রত পলাশ



চাকার নিচে পিষে গেলে পলাশ
চালকের ঘাম থেকে দাম নিয়ে নেবো
চোখের পলাশে পলাশে
আজকাল বর্ষারা বাসা বাধে

যুগল যাত্রীর এক মুঠো পলাশ ফুল
ঘামের গন্ধে হা-হুতাশ করে

শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১২

প্রমিক-১৪


আশা নিয়ে আসবো আসবো করি
আমার আশার আসা হয় না
তাই হয়ত বাসা হয় না
ভালো থেকো
ভালোর মত থেকো
আমার পথের উড়াল বাতাস যত্ন করে রেখো

মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১২

তুমি-১৭


তোমাকে নিয়ে রাত্রিদের হাহাকার শোনা যাবে
এই নির্মম সত্য কে জেনেও হাত বারালাম অবগাহনে
ডুবে গেলে সাতার শেখা যায়, অথচ কি নির্মম
আমি কেবল ডুবেই যাই
তোমাকে নিয়ে অন্ধকারেরা খুব ব্যস্ত থাকে
আমি কেবল ডুবেই যাই
তোমাকে নিয়ে আয়োজন হয় সূর্যের
আমি কেবল ডুবেই যাই

আমি ডুবে গেলে সূর্য উঠে
তারপর প্রকাশিত হও নিষ্পাপ আলো ঝলমলে

বিপ্লবী -৬


এই বার রাত্র হবে
গভীর রাত্র আসবে তোমাকে ছুয়ে ছুয়ে
আমি ঠিক স্বপ্নের মত ঘুমাবো

তারপর ভোর হবে
তারপর ভোর হবেই
আমি ঠিক ভোর নিয়ে যাবো ভালবাসা নিবেদনে

আমাকে ভালবাসিও সেই বিমোহিত ফাগুনের দিনে

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১২

প্রেমিক-৪৯


তুমি শুন্যতা উড়িয়ে খুঁজে ফিরো ফাগুন বাতাস
ডাকাতের মতো প্রেম কেড়ে নিয়ে প্রেমিক সেজেছি

একবার ঝড় হয়ে গিয়েছিলো আমার হুতাশ

কালো কবিতা-১৮



এখনতো পরিচয় ই হলো না
এরই মাঝে সন্ধ্যা হলো
যতদুর চেনা জানা ছিল ঠিক অচেনা হলো
এরই মাঝে রাত হলো

আচ্ছা ঠিক, আছে প্রেম শুরু করো
সকাল হলে না হয় পরিচয় সেরে নেবো

সকাল সকালে কোথার কোন প্রেম জানি
পাপ ঝেড়ে ফেলে পালিয়ে গেলো

শুধু প্রেম দিও


সূর্যের গায়ে ছোপ ছোপ দাগ পরে গেছে
তুমি চাদ হলে বিমোহিত হবো
ভাঙ্গাচোরা সূর্যের প্রেম নিয়ে আরো কিছু পূর্নিমা দিও
কিছু কাল অমানিশা দিয়ে দিলে সূর্যের শুশ্রুষা হতে পারে, তবু শুধু প্রেম দিও
শুধু প্রেম-ই দিও

শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১২

গন্তব্য


এখন পাখিরাও এলোমেলো ডাকে
ভুল ডালে বসে বসন্ত গীত গায়
কৃষকের হাসি থেমে গেলে
জুড়ে বসা পাখির দল উড়ে যাবে কোথাকার ঝরে

তুমি-১৬

এখন আমি তুমি থেকে আপনি 
একবার খবর নিও খুব বেশিদূর মনে হলে
তুমি তুমিই আছো 

মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১২

যুগল


কিছু কি রেখে গেলো সে
শুন্যতার ভিতরে কি যেন গুটিশুটি বসে আছে
খুব খুব দোকলা লাগে
কি জানি ব্যথাতুর ঘুরে আসেপাশে

ভুল মানুষ


কষ্টের ছাই উড়ে যায় ফানুস হয়ে
কত কিছু চাই
কোনো সুখ নাই
দূর ছাই মানুষ হয়ে

একদিন জানবেই



একদিন জানবেই
আমি তোমার ভেতরেই ঠিক আমার মত থাকি
আমি তোমার ভিতরেই সবচেয়ে সুখে থাকি

শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

তুমি -১৫


ভাঙ্গা বুকে এখনো চড়াই উতরাই প্রেম
প্রেম কি আর হৃদয় বুঝে শুনে জ্বলে

সেখানে একদা পাখির বাসার মত আমাদের নীড় ছিল
স্বপ্নের ডালপালাতে
আজও জ্বলে যেতে পারি দুর্বার কলঙ্কে পূর্নিমা রাতে

তোমাকে তুমি বানাবো
যেটুকু হৃদয় জ্বলে সেই সব টুকু প্রেম হয়ে জ্বলে

ভাষা সহায় হলে


ভাষার কাছে একটু অবহেলিত ছিলাম
তুমিও আমাকে দুর্জন ভেবনা
ভাষা সহায় হলে কবিতা হবে
ভাষার কাছে একটা যৌথ স্বপ্ন চেয়েছিলাম
শ্বব্দ বিমুখ ছিল প্রেমের
তোমার জন্যে কলমের অপেক্ষায় ভাষার অভিমান ভাঙবেই
ভাষা সহায় হলে কবিতা হবে

শ্বব্দের সমর্থনে হবে প্রেম আর
যৌথ স্বপ্ন দেখবো তুমি আর আমি

তুমি-১৪


ভালই হলো
ছিন্ন করলে বাধন, হৃদয়ের দাগ মুছে নিও এর পর
আমার কালিমা থেকে

কিছু প্রেম লেপ্টে আছে ঠোটে?
দ্যাখো, নিতে পারো কিনা চেটে পুটে
এর পর কি করে মুক্ত হবে
উষ্ণতার দায় থেকে

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রেমিক-১৩


কিছু ঘ্রাণ রেখে এসেছি চৈতালি দুপুরের ঘরে
তারাতারি না করলে পুরে যাবে , প্রেম গুলো উড়ে উড়ে যাবে
ঠিক কৃষ্ণচুড়ার রঙ্গে যেমনে বিরহ পালায়
দু:খ না দেখালে তুমি আর কি বুঝবে প্রেম
তারও অধিক দু:খ ছিল

অনেক সাধনের প্রেম আমার ফাল্গুনে খাবে
তারা তারি যাও প্রিয় তারা তারি যাও
কৃষ্ণচুড়ার ফুল ফুটে যাবে
প্রেমিকের পথ কালবৈশাখী খুঁজে পাবে

সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রেমিক-১২



কিছু কাল আরো বৃষ্টি বিমুখ থেকো
শুকনো ফুলের বিলাপে এখনো মৌমাছিদের আনাগোনা
এখনো ধুসর বিকেলের ক্লান্তি নিয়ে ঠান্ডা হওয়ার ঝর স্বপ্ন দেখায়
এখনো কিছু বসন্ত আছে বাকি

তারপর প্রেম থেকে দুরে চলে যাবো পথিক হয়ে
তারপর আকাশের কালো মেঘে আমার প্রতিচ্ছবি একো
তারপর মধ্যরাতের চাদে কলংকের ঘ্রাণ যদি পাও
খানিক বৃষ্টিতে ভিজো

প্রেমিকের ভালবাসা বৃষ্টিতে ছড়ানো থাকে
বৃষ্টিতে ভিজে কতেক ভালবাসিও আমাকে

প্রেমিক-১১

আমার পাপ থেকে সহজেই তোমাকে নিস্তার দিব না 
প্রেম গায়ে মেখে কলঙ্কের চাদ ডুবে গেলে 
আমি ভালবাসা দেখাবো খুলে 
যে ভালবসা পাপ ছিল কোনো কালে আজও সে পাপ-ই আছে 
আজও কাশ ফুলে জোসনা লুকালে তাকে তুমি আধার বলো
আমার প্রেম থেকে সহজে তোমাকে নিস্তার দিব না 
আজও আমি প্রেমিক তোমার, আমি পাপী

বিপ্লবী-৫

রাতের এখনো কিছু বাকি 
আরো কিছু গভীর হতে পারে প্রেম 
শ্বব্দের ছন্নছাড়া মিলনে কবিতা হলে তুমি প্রেম চুরি করে নিও সেই কবিতার 
সকালে বিপ্লবে যাবো, সেখানে ব্যথা নিয়ে যাবো চোখ লাল করে 
জেনে রেখো, প্রেমিকেরাও বিপ্লবী হতে পারে

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আমি


এই
সন্মানের সাথে কথা বোলো, আমি মানুষ

বিপ্লবী-৪


যে মৃত্যু প্রস্তুত থাকে
তোমাকে আমরা সেই মৃত্যু দিয়ে আঘাত করে যাবো
কেউ সেটাকে বিপ্লব বলুক আর নাই বলুক
আমি ঠিকই মৃত্যুর মিছিলে সামিল হবো

পত্র


চামড়ার গদির ভাজে কিছু অনুতাপ জমারেখো
কিছু সুগন্ধি মেখো জিহ্বার চকচকে বিষে
দৃষ্টির সুচালো ফালিতে জং ধরে যাবে একদিন
আমাদের অভিমান গুলো বড় বেশি দাম নিয়ে নিবে
মনে রেখো একদিন বিপ্লব হবেই

বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বিপ্লবী-৩


একটা ভাষাহীন কবিতার খসড়া নিয়ে
কিছু যৌবন পোড়া কৃষক আমাকে ডেকে যাচ্ছে আজকাল
আর আমি কলমের সবুজ কালির খোজে
এপথে ওপথে ঘুরি, বিপ্লব করি

সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রেমিক- ১০


আরো কিছু জানুক মৌমাছিরা
আরো কিছু পরাগ বিফলে গেলে আমি প্রকাশিত হবো প্রেমিক হয়ে
তারপর প্রেম দেবো মধুর ও অধিক
তারপরও ফাল্গুন ফুলেরই থেকে যায়
প্রেমিক বুঝে নেয় শুধু অযথাই কাঁটার দায়

তবুও আমি তোমাকে সাজাবো
নষ্ট পরাগ নিয়ে চলে যাবো পথিক হয়ে
তুমি সেই প্রেম দিয়ে বসন্ত সাজিয়ে নিও

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

বিপ্লবী-২


একটা সবুজ থেকে আরেকটা সবুজের দুরত্ব মেপো
মনের গভীরে গভীরে বিপ্লব জমা হবে
তারপর কিছু ধান গাছ বুকে জড়িয়ে
আমার মৃত্যু হবে

বিপ্লবী


যেটুকু দাবিদাওয়া ছিল
তোমার কাছে সপে দিয়ে চলে যাব পথিক হয়ে
তুমি কিছু চাষ বাস কোরো, কৃষক হইয়ো

আমি কিছু ধানের গন্ধ ধার নিবো তোমার গা থেকে
তুমি কৃষক হয়ে মাটিকে সেই ঋণ শোধ করে দিও আমার হয়ে
আমি পরিশোধ করে দিব তোমায়
বিপ্লব হয়ে

শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

ঠিকানা


একদিন তোমাকে দেখতে যাবো
কিছু কাদামাটি গায়ে মেখে একাকার হবো বর্ষা গীতে
একদিন স্বপ্ন গুলো আবার সবুজ হবে
একদিন অশ্রু লুকাবোনা
তোমার কোলে মাথা রেখে চিত্কার করে কেদে যাবো

একদিন মানুষ হবো পথিক থেকে
একদিন তুমি আমার ঠিকানা হবে

প্রেমিক -৯


না জানলে সুখ
ইস্কাবনের বিবির অসুখ
তোমার খেলায় মনের জুয়া
আমি হারি যেমন তেমন
আগুন ভরা আমার শূন্য বুক
এইতো দেখো দু:খ
যেমন করে প্রেমিক হলাম
মৌমাছিদের আমন্ত্রণে
ফুল ছুয়েছি কাঁটার দায়ে
ফাগুন তখন ফিরিয়ে নিল মুখ

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রেমিক -৮


ভালবাসা থেকে কলঙ্ক আলাদা করে ছুড়ে ফেলে দিলে
আমি কুড়িয়ে নিলাম
আমি ভালোবেসেছিলাম

বিপন্ন কাঁটার কাছে অহেতুক প্রেম জমেছিল
তাই দু:খের সব দায়ভার নিলাম
আমি প্রেমিক ছিলাম

বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

প্রেমিক-৭


কিছু মৌমাছি ফাল্গুন বিমুখ ছিলো
কিছু ফুল আশায় আশায় থাকে
কিছু ভুল নিয়ে বসবাস করি

যাযাবর পথ ভুলে যায়
তারপর খুঁজে পেলে চোখ
কিছু বর্ষা দিও, দিও কিছু নরম কাদা মাটি
হৃদয়ে প্রলেপ দেবো

ওগো ফুল আমার আশায় থেকো
আমি শুধু ভুল নিয়ে বসবাস করি

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১২

নামলে সন্ধ্যা কাল

একটা বিকেল 
একটু পরে সূর্য হবে লাল 
আমি কেবল বিভোর থাকি দিনের মোহে 

ফুরালো দিন 
চোখের নিবির অপেক্ষা তা উজার পথে, তাকিয়ে থাকো
নামলে সন্ধ্যা কাল 

গন্ধ



একটা গন্ধ ছায়ার মত আমাকে অনুসরণ করে
আমি যেখানেই যাই যেখানেই খুলি হৃদয়
যেখানেই গোসল করে চোখ
আর যেখানেই বিক্রি হই লোভ কিংবা হিংসার কাছে

আমি ক্ষুধার্ত থাকলে গন্ধটা খুব তীব্র হয়
আমি কবিতা লিখতে বসলে গন্ধটা এলো মেল হয়ে যায়
আমি পাপ করলে গন্ধটা গুমোট বাধে
আর আমি ভালোবসলে গন্ধটাও কেমন জানি স্নিগ্ধ স্নিগ্ধ লাগে

তুমি এলে গন্ধটা থাকে না
তুমি এলে গন্ধটা তোমার গন্ধ মনে হয়


বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১২

পরকীয়া


আজ দুপুর বেলা একলা ছিলে
বুকের বোটায় কিসের একটা গোপন গোপন ব্যথা ছিলো
ফুলের পরাগ মৌমাছিতে লেপ্টে গেলে কি দোষ হলো

আজ দুপুর বেলায় আমি ছিলাম অন্য পুরুষ
কাঙ্গাল মনের বিষাদ গুলো গুনগুনিয়ে তোমার মনের বিষাদ নিয়ে আগুন খেলি
আমি হলাম পর পুরুষের পথের ছায়া
ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালাই তোমার চোখের মহামায়া

যতটা কাল প্রেমিক ছিলাম প্রেম খুজেছি
আজ দুপুর বেলা একলা ছিলে, আজকে আমি
ফাগুনহারা অবসন্তের নাগর হলাম

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১২

তুমি- ১৩


মন চাইলে খুলে ফেলো বস্ত্র
ফোটা ফোটা ঝরে পরে শরীর থেকে
এলোমোলো মৌমাছি গুলো তোমাকে মাদক ভেবে
আমাকে নষ্ট করে দিলো

আমি এই নগ্নতা নিয়ে
কলঙ্ক কেনার ব্যর্থ প্রচেষ্টা করি
মূল্যের সীমায় তোমাকে যায় না ছোয়া
মন চাইলে ঝেড়ে ফেলো কিছু প্রেম
অলস পাখির পালকের মত নিতান্ত অবহেলা করে
আমি কুড়িয়ে ছিলাম সুখে
তারা হৃত্পিণ্ড জ্বালিয়ে দিলো
ওগুলো আগুন ছিল

মন চাইলে ভালোবাসো কি বিশাল মহত্বে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে
ফোটা ফোটা আগুনের ঘ্রাণ

মন ভালো না



মন ভালো না
জমকালো না
চোখের ভিতর চেয়ে-ই আছি চেয়ে-ই আছি
নাগর তবু চমকালোনা

রাত ভালো না
ভোর ভালো না
দুপুর ছিল আমার হয়ে একান্তেতে অলস মত
তাও এলে না

কোথায় থাকো
কিসব আঁকো
বাকা তুলির পাকা রঙ্গে আমার দুখের একটা হলুদ
ছবি আঁকো না

নাকি আবার দু:খ তুমি
আঁকতে জানোনা?

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১২

প্রেমিক-৬


এখনো যায় নি স্পর্ষ ক্ষুধা
মেটেনি ফুলের গন্ধে প্রজাপতির অসুখ
অথচো বসন্ত কবে হয়ে গেছে অন্যের বধু
আমি আর কতটা প্রেমিক হবো

এর চেয়ে ভালো সাধক বৃক্ষ হবো
মন চাইলে ঝড় দেবো, অথবা জ্বলে গিয়ে আগুন
সেই অঙ্গার কুড়িয়ে নিয়ে একটা মালা গেথো
সৌরভে খুঁজে পেতে পারো
কতটা প্রেমিক ছিলাম

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১২

কষ্ট নদীর ছলে


কল কল তোর গহীন নদীর জল
স্বপ্ন পাখি উড়ায় অধিক ছল
কোথায় আমি দাড়াবো এই জলে
ডুবে যাচ্ছি কষ্ট নদীর ছলে

আগুনের হুতাস


তীব্র খরা বুকে
নদী ছুলে জল মরে যায় এই পোড়া অসুখে
হৃদয় পুড়ে ছাইয়ের জোয়ার অকাল প্রেমের মাছ
খুঁজে পায় বিষন্ন বাতাস

তুমি চাইলে নিতে পর আগুনের হুতাস

দক্ষ মজুদ করি


তুমি যতটুকু দিতে পারো
নিতে পারি তার থেকে বেশি, বেহিসেবি
হৃদয়ের ঘরে মজুদ করে করে
আমি দক্ষ মজুদ করি

কষ্টের মজুদ আছে, বাহারি ব্যথা
ভালবাসা গুলো প্রেমের বেলুনে ফুলানো
আরো আছে নষ্ট বসন্ত সমূহ
তুমি আর কতটুকু দিতে পারো

আরো কিছু কষ্ট দিতে হলে ঋণ নিতে পারো
ভাসমান কিছু চুম্বন থেকে নিতে পারো আগুন
তাপর জ্বালাতে পারো
হৃদয়ে লুকোনো গুদাম ....... আমি সব কিছু নিতে পারি
আমি দক্ষ মজুদ করি


শুধু কিছু ঋণ থেকে যাব দুজনে দুজনার কাছে
জীবনের ব্যবসা পাতি আর কতটুকু মেলাতে পারি

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১২

গোলাপের ঘ্রাণ


গোলাপের পাপড়ি টা সে ভাজেই আছে
কষ্টের বই খুলে দেখো
আজও সেখানে গোলাপের ঘ্রাণ লেগে আছে

কষ্টবনিক -২


বিক্রিত ব্যথা ফেরত হয় না
কথা থেকে কথা পর্যন্ত তোমাকে মাশুল দিতে হবে
আজকাল কথার ব্যথায় তোমাকে পোড়াবে
কিনে ছিলে যে হাটে সেতো কবেই পুড়ে গেছে তোমার উত্তাপে

কষ্ট বনিক


কষ্টটাকে কষ্ট করে খুলেই ফেললাম হৃদয় থেকে
আর কি থাকে, সবই এখন আমার হাতে
এবার হবে সওদাগিরি
তোমার থেকে সব কিনবো, শখ কিনবো, ফুল কিনবো
হাতির দাতের নথ কিনবো
ভুল বাজারে লেনা দেনা আর হবে না

আমার হাতে কষ্ট আছে অনেক দামী

তুমি-১২


পথ থেকে ছুটি নিলে ক্লান্তিরা অচেনা হয়ে যাবে তুমি
পরিচিত চোখ গুলো থেকে হতাশার হাতছানি
তারপর ভাজ করে পরিপাটি পথ
রুক্ষ সমুদ্র জোয়ারে ভেসে যাবে আগামীর রথ

তুমি উড়ে গেলে বনবাস কাধে চেপে
এখনো আগামী হলো আজকের পরিনিতি

নাবিকের জল


কাগজের নৌকাও জলে ভাসে
ফোটা ফোটা জল পরে নৌকায়, বৃষ্টির আশেপাশে
বৃষ্টির দলা গুলো উড়ে গেলে পাখি
চোখের কম্পন থেকে উত্তাল সমুদ্র গড়ে
নাবিকের মন শুধু বলে, কত পথ আর বাকি

সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১২

তুমি-১১


যখন তুমি একলা থাকো
তখন আমার একলা লাগে
পথের চাপা মিছিল তখন শূন্য থেকে শূন্যতর
এক বিন্দু দু:খটাকে তখন ভিশন বড় লাগে

বিন্দু বিন্দু একলা জমে
তোমার আমার ছবির ফ্রেমে
বিষন্ন মন, নষ্ট সময়, ভুল আগুনে ফাগুন জ্বলে
ভালো থাকা পুড়ে যাচ্ছে অকাল প্রেমে

যখন তুমি একলা থাকো
ভালোবেসে ভালো থেকো

একটা নীল খাম


ঠিক করলাম ব্যথা গুলোকে জড়ো করবো
একটা সবুজ প্যাকেটে
ঠিক কত গুলো হবে আর কত বড় হবে আন্দাজ করিনি
একটা নীল খাম ছাড়া কিছু-ই মেলেনি

রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১২

প্রেমিক-৫


তুমি অভিশাপ দিলে
আর আমি তার থেকেও উত্তাপ নেই
আমি প্রেমিক বিধায় এটুকু আমার প্রাপ্য

তুমি আর কিছু দিলে দিয়ে দিও
কষ্ট কিংবা অভিমান
আমি ঠিক ঠিক প্রেমিক-ই থাকবো যেটুকু তোমার যোগ্য

শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১২

প্রেমিক -৪


নদীর ভিতরে আরেকটা নদী
আর গভীরের পাহাড় যুগল
কোথাও ঘন জঙ্গলে প্রেম কামের নামে করে ইশ্বর সাধনা

নারী, তুমি বর দিলে প্রেমিক হবো

শুন্যের পাঠ



কষ্ট কোথায় থাকে
খুজেছি অনেক, হৃদয় ঘেটেছি কেটে
ঢুকেছি নিউরনে নিউরনে, স্মৃতির জংজাল খুটে খুটে
কষ্টের পরিচয় ভুলে গেছি কষ্টে কষ্টে

শুন্যের পাঠ শেষ করে
অত:পর ফিরে গেছি নষ্ট জীবন যাপনে


বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১২

তুমি-১০


তোমাকে একটা এলোমেলো স্বপ্নের মত মনে হয়
কখনো সখনো এলে আমার দিধাগ্রস্থ হয়ে যায় সময়
কখনো সখনো এলে মনে হয় এই মাত্র জাগালে
এলে মনে হয় তুমি স্বপ্নটা ভেঙ্গে দিলে
চেতনার অবচেতনে তুমি থাক অধচেতনায়

আবার এলে ঘুম থেকে সাবধানে ডেকো ভালোবেসে
যেন স্বপ্নটা আর ভেঙ্গে না যায়






বুধবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১২

তুমি-৯


আরো কিছুদিন
আরো কিছু অপেক্ষা আমাকে খাবে
তারপর এই এক জংজাল দু:স্মৃতির পিন্ডটা
টেনে টুনে আধখানা শরীর আর নাইয়ের মত কিছুটা যৌবন নিয়ে
তোমার কাছে যাবে

আরো কিছুদিন
আরো কিছু সাজা মোর বাকি
আরো কিছু ভালবাসা এখনো তোমাতে আছে

তার পর তুমি প্রতিশোধ নিও
তারপর তুমি ভালবাসা শোধ করে দিও

প্রেমিক-৩


যা ছিল চোখের দেখা
আঁকা বাঁকা ঢেউ খেলেছিল
হয়তো কেউ একেছিল স্নিগ্ধ নদীর অবয়ব
খুঁজে পেয়ে তোমার বুকে

আমি তোমার সেই যৌবনে প্লাবন হবো
লন্ডভন্ড ঝড় প্রেমের তুলিতে একে

মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১২

আরেকটু হলে


আরেকটু হলে ইতিহাস হয়ে যেতো তোমার আমার প্রেমটা
আরেকটু হলে একটা কবির মৃত্যু হতো
আরেকটু হলে ফাল্গুন হয়ে যেতো অশ্লীল
আরেকটু হলেই ভালোবাসা বিক্রি হয়ে যেতো প্রতারক প্রেমের দামে

তুমি-৮


আমার প্রশ্ন ছিলনা কোনো
উত্তর অজুহাত তুমি দিয়ে গেলে অনেক বলে
যদি প্রশ্নই ছুড়ে দিতাম ইটের বদলে পাটকেলে
তুমি উত্তর দিতে কি বলে ?

সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০১২

তুমি-৭


নীরবতার কোনো ভাষা নেই
যেটুকু মানুষ ভাবে ভুল ভাবে......
নিরবতা একটা দ্বিধার স্রোত, ভেতরে ভেতরে একটা যুদ্ধ
একটা ঝড় অগোচরে বয়ে যায়

তুমি উস্কে দাও দ্বিধা অভিজাত চোখে
অন্তরদ্বন্দে বাধ ভাঙ্গে ক্ষোভের
ভালবাসা ভ্রান্ত পথিকের মতো পথ হারায়

আমি নিরব ছিলাম
আমি সম্মত ছিলাম না
তবু তুমি চলে চলে গেলে