শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১২

কালো কবিতা-২৬

শৈশবে যখন প্রথম কাগজের নৌকা বানানো শিখি
এর পর থেকে কতো বার বৃষ্টির লোভে আকাশ কে ঈশ্বর বলে ডাকতাম
অথবা ঈশ্বর কে আকাশ বলে ভাবতাম আর
সাদা সাদা মেঘগুলো আমাকে আশান্বিত করে চলে যেতো
কিংবা কখনো আমার ঈশ্বর স্বয়ং নেমে আসতো স্বতঃস্ফূর্ত জলের সিঁড়ি বেয়ে
আমি খুব যত্ন করে নৌকা বানাতাম
কাগজের শৈল্পিক ভাজে ভাজে আরো একটা ঈশ্বর আবিস্কার করলাম নিজের ভিতর
তারপর আমরা দ্বৈত ঈশ্বর মিলে এইবার নৌকা ভাসাবো   
আঙ্গিনার পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা খালের  অনুকুল স্রতে

এইভাবে সব ঠিক ছিল
শৈশবে ঈশ্বর আমার খেলার সাথি
কিংবা বৃষ্টি এবং স্রোত

আমার ভিতরের ঈশ্বর খুব ভিতু ছিলেন
আর ছিলেন প্রথাভক্ত এবং বাধ্যগত
কাগজের নৌকা গুলো ভাসিয়ে দেওয়ার পর শিল্পের সমাপ্তি হতো
কিংবা আমার ভিতরের সেই ঈশ্বর হয়তো কোথাও পালিয়ে যেতেন
একদিন কোন এক নতুন ঈশ্বর আমি খুজে পেলাম আমার কৌতূহলে
একদিন প্রথা ভেঙ্গে পিছু নিলাম স্রোতের
আমার ভাসানো নৌকা গুলোর, কোমল স্নেহ গুলোর খোঁজে

অনুকুল স্রোতের অবশেষে
খুঁজে পেলাম বীভৎস ঘূর্ণিপাক
আমার কোমল স্নেহের নৌকা পলকেই মিলে গেলো কোথায়
আমি বহুকাল অপেক্ষায় ছিলাম
একদিন ঘূর্ণিপাক থেমে গেলেও আমি আমার ঈশ্বর খুঁজে পেলাম না

এখন আর স্রোতের অনুকুলে চলি না
অথবা স্রোত আমার বিপরীতে চলে  







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন